রাজধানীতে চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

* তারা হলেন মুগদায় সুমি আক্তার বয়স : ৩০ * মিরপুরে রাজিয়া আক্তার বয়স : ১৮ * বিমানবন্দরে মো. ইব্রাহিম দিপু বয়স : ২৭ * বনানীতে ইমরান হক বয়স : ৫০

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীসহ চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন মুগদায় সুমি আক্তার (৩০), মিরপুরে রাজিয়া আক্তার (১৮), বিমানবন্দরে মো. ইব্রাহিম দিপু (২৭), বনানীতে ইমরান হক (৫০)। গত রোববার রাতে পৃথক ঘটনায় তারা মারা যান। সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ গতকাল সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আঙ্গুরা আক্তার সীমা জানান, গত রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে সুমী আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমী পারিবারিককলহে কীটনাশক (বিষ) পানে অসুস্থ হন বলে দাবি তার স্বজনদের।

তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সুমী আইসিইউতে মারা যান। তিনি লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলার চরবংশি গ্রামের ইসমাঈলের কন্যা। তার স্বামীর নাম ইব্রাহিম। এদিকে একই দিন রাত সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সালমা বেগম মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের সি-ব্লকের ১৭ নম্বর লেনের বাসা থেকে রাজিয়া আক্তার অন্তর (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেন। ভিকটিমের স্বজনদের বরাত দিয়ে সালমা বেগম জানিয়েছেন, মেয়েটিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগা অবস্থায় পাওয়া যায়। রাজিয়া শেরপুর সদর উপজেলার রাজন আলীর মেয়ে। অপরদিকে, একই দিন বিকালে টয়েলেটে যাওয়ার সময়ে বিমানবন্দর থানার ইশান কলোনির পাশে সিভিল এভিয়েশন মাঠের দেওয়ালের পশ্চিম পাশে বৈদুতিক তারের সঙ্গে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে ছিলেন মো. ইব্রাহিম দীপু। পরে পথচারীরা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন রাত সাড়ে ১০টায় তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান। নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম দীপু। বর্তমানে দক্ষিণখান আশকোনায় থাকতেন। একই দিন রাত ১১টার দিকে বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফ হোসেন বনানী এইচণ্ড ব্লক, ১১ নম্বর রোডের, ৪৩ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলার একটি বাথরুমের বাথটাব থেকে ইমরান হক সাজনের (৫০) লাশ উদ্ধার করেন। মৃতের স্বজনদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছেন, ওই বাসায় তিনি একাই থাকতেন। তার স্ত্রী, সন্তান বা স্বজনদের কেউ তার সঙ্গে থাকতেন না। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। এর আগে দুই বার স্ট্রোক করেছিলেন। তার চাচা ফারুক রবিবার ফোনে না পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় বাসায় গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করেন। পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ঢামেক মর্গে পাঠায়। সাজনের বাবার নাম মৃত মোজাম্মেল হক।