সরবরাহ উৎসের মূলোৎপাটন করে মাদককে নির্মূল করতে হবে

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্থায়ীভাবে মাদকের অবাধ ব্যবহার এবং মাদক নির্মূল করতে এর সরবরাহ উৎসের মূলোৎপাটন করতে হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ দেশের সব সচেতন নাগরিককে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। গতকাল বুধবার সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘মাদকাসক্তি-অপরাধ নাকি মানসিক রোগ এবং এর প্রতিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী, বাংলাদেশে কোনো মাদক তৈরি হয় না। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বাংলাদেশে মাদক প্রবেশ করে। তাহলে কেন আমরা মাদকের প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করতে পারছি না? মাদকের প্রবেশ পথগুলো চিহ্নিত করতে হবে। একই সঙ্গে মাদক কারবার বা মাদক সরবরাহের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে মাদক নির্মূল করতে হবে। মাদক নির্মূলে সবাইকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের মাদকের ক্ষতিকারক দিকগুলো আলোচনার পাশাপাশি সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা ও বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিসে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। মাদকবিরোধী কার্যক্রম এতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে মাদকের শারীরিক ও মানসিক প্রভাব সম্পর্কে তথ্যগুলো সহজভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ঢাকাসহ অন্যান্য শহরগুলোতে পর্যাপ্ত বিনোদনের অভাব এবং খেলাধুলার মাঠ সংকটও উঠতি বয়সি ছেলেদের মাদকাসক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের শহরগুলোতে পর্যাপ্ত বিনোদনের অভাব এবং খেলাধুলার জন্য মাঠের সংকট রয়েছে। যার ফলে উঠতি বয়সিরা অবসর সময়গুলো কাটানোর জন্য মাদক ব্যবহারে আকৃষ্ট হয়। একটি নগর পরিকল্পনায় যেমন ২৫ শতাংশ যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকা জরুরি, ঠিক তেমনি ড্রেনেজ, খেলাধুলা এবং বিনোদন ব্যবস্থার জন্য ১৫ শতাংশ থাকতে হবে। এথেনা লিমিটেডের আয়োজনে এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য জারা জাবিন মাহবুব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, বরেণ্য সাংবাদিক ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, বিশিষ্ট চিকিৎসাবিদ ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মেহের আফরোজ শাওনসহ আরো অনেকে।