ঢাকা ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বোটানিক্যাল গার্ডেন

দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে বাজানো হচ্ছে উচ্চস্বরে গান

দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে বাজানো হচ্ছে উচ্চস্বরে গান

আষাঢ়ের মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, তবে বৃষ্টি নেই। আবার রোদের উত্তাপও নেই। ছুটির দিনে এমন আবহাওয়ায় ও মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে (জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান) দর্শনার্থীদের তেমন ভিড় নেই। যদিও দর্শনার্থী টানতে উদ্যানের প্রধান ফটকের সামনে সাউন্ড বক্সে বাজানো হচ্ছে গান। সংশ্লিষ্টরা জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিকালে দর্শনার্থীদের পদচারণায় জমজমাট থাকত বোটানিক্যাল গার্ডেন। তবে গত ৪ জুলাইয়ের পর পাল্টেছে দৃশ্যপট। ৪ জুলাইয়ের পর ৫ গুণ বেড়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশের টিকিটের মূল্য। ২০ টাকার টিকিট হয়েছে ১০০ টাকা। এমনকি কোলের শিশুদের জন্যও ৫০ টাকার টিকিট নিতে হচ্ছে। এর ফলে কমেছে দর্শনার্থী। টিকিটের বাড়তি মূল্য নিয়েও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বোটানিক্যাল গার্ডেনের সামনে এক ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করেও তেমন দর্শনার্থী চোখে পড়েনি। অথচ পাশের চিড়িয়াখানায় ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়।

সরেজমিন দেখা যায়, বোটানিক্যাল গার্ডেনের চারটি টিকিট কাউন্টার থাকলেও মাত্র একটি কাউন্টারে থেকেই দর্শনার্থীরা টিকিট নিচ্ছেন। বাকি তিন কাউন্টারে কাউকে চোখে পড়েনি। দর্শনার্থী না থাকায় গেটের টিকিট চেকাররাও অলস সময় পার করছেন। তেমন দর্শনার্থী না থাকলেও গেটের বাইরে দুটি সাউন্ড বক্সে বাজানো হচ্ছে গান। গেটের সামনে গিয়ে দেখা মিললো দুই দর্শনার্থীর। তারা প্রতিদিন বিকেলে হাঁটতে আসেন বোটানিক্যাল গার্ডেনে। টিকিটের দাম বাড়ানোর বিষয়ে জাহিদ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘ঢাকায় নিরিবিলি হাঁটার জায়গা কম। এটা বিনামূল্য হওয়া উচিত। অথচ ২০ টাকা থেকে বাড়িতে ১০০ টাকা করা হয়েছে! আগে বিকেলে টিকিট পেতে কষ্ট হতো, এখন হাঁটতে আসা লোকের সংখ্যাও কমে গেছে।’ কল্যাণপুর থেকে এসেছেন পলাশ। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এই চাকরিজীবী বলেন, ‘১০০ টাকা টিকিট হওয়াতে বখাটে ছেলেরা যাবে না, এটা ভালো দিক। এই ছেলেরা দর্শনার্থীদের অনেক বিরক্ত করত। তবে ১২ বছরের কম বয়সি শিশুদের জন্য ৫০ টাকা প্রবেশমূল্য রাখা অযৌক্তিক। টিকিটের মূল্য কিছুটা কমানো যেতে পারে।’ বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশের টিকিটের টাকা সংগ্রহ করে সাগর এন্টারপ্রাইজ। কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী সাব্বিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘টিকিটের বাড়তি মূল্য নিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। স্বতঃস্ফূর্ত টিকেট কেটে দর্শনার্থীরা ভেতরে প্রবেশ করছেন। দর্শনার্থী সংখ্যা আগের মতোই আছে।’ টিকিটের মূল্য বাড়ানোর আগেও সাউন্ড বক্স দিয়ে গান বাজানো হতো বলে দাবি করেন সাব্বির।

সম্প্রতি বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ওয়ারীর বলধা গার্ডেনের প্রবেশমূল্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু বন অধিশাখা-১। কথা হয় বোটানিক্যাল গার্ডেনের সামনে থাকা হকার মাসুদ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি প্রায় ২ যুগ ধরে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের সামনে ময়ূরের পাখা ও খাবার বিক্রি করছেন। মাসুদ উদ্দিন বলেন, ‘গার্ডেনের সামনে লোক সমাগম নেই। এ কারণে হকারও নেই। আগে অস্থায়ী কিছু খাবারের দোকান ছিল, সেগুলোও উঠে গেছে। টিকিটের মূল্য বাড়ায় দর্শনার্থী অনেক কমে গেছে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত