কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম বলেছেন, এটি প্রশিক্ষিত দুষ্কৃতকারী দ্বারা পরিকল্পিত হামলা। তিনি বলেন, এরূপ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল পাকিস্তানিরা। গতকাল রোববার ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি সব স্থাপনা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন পরিকল্পনামন্ত্রী। পরে কোটা আন্দোলন ঘিরে দুর্বৃত্তদের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা, বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর, রামপুরা বিটিভি সেন্টার এবং কাজিপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন।
বিটিভি সেন্টার পরিদর্শন করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে আমরা পুনর্গঠনের কাজ করবো কিন্তু কিছু ক্ষতি আছে যেগুলো পূরণ করা যাবে না। আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কিত যেসব ডকুমেন্টস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, বিনষ্ট করা হয়েছে সেগুলোর ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা আমাদের সবার দায়িত্ব। তিনি আরো বলেন, দেশের সম্পদ রক্ষায়, দেশের ঐতিহ্য সংরক্ষণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে এবং দেশের মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। মন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র করে, হামলা, অগ্নিসংযোগ করে, সম্পদ বিনষ্ট করে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাবে, সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবো। পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, যারা হামলা করেছে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই, রাজনীতি করতে গেলে দেশপ্রেম থাকা অপরিহার্য, দেশকেই যদি তারা ভালো না বাসতে পারে তাহলে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। দেশের সম্পদ নষ্ট করে দেশের ক্ষতি করে রাজনীতি করা যায় না।
