নারায়ণগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আসমা আক্তার (২৪) নামে দুই সন্তানের জননীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আমজাদ হোসেন (৩০) ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। নিহত আসমা উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী এলাকার ফালু মিয়ার কন্যা এবং তার স্বামী মাহমুদপুর ইউনিয়নের কল্যান্দী এলাকার মৃত কবির হোসেনের ছেলে। গত রোববার দিনগত রাতে নিহতের শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার ২৯ জুলাই সকালে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে আড়াইহাজার থানা পুলিশ। নিহতের বোন আলহাজ আবুতালেব মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকা উম্মে হাবিবা জানান, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে উপজেলার কল্যান্দী গ্রামে মৃত কবির হোসেনের ছেলে আমজাদের সাথে আসমার বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আমজাদ মোটা অঙ্কের টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য আসমাকে দৈহিকভাবে নির্যাতন করতো ও প্রাণ নাশের হুমকি দিতো। বিগত ঈদুল আজহার পরও অসমাকে মারধরে আহত করে যৌতুকের জন্য তার পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দিলে পিত্রালয় থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা যৌতুক এনে দেয়।

এর আগেও পিত্রালয় থেকে দেয়া প্রায় দুই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার বিক্রি করে দিলেও টাকা-পয়সা নষ্ট করে ফেলে আমজাদ। কিন্তু তাতেও আমজাদ সন্তুষ্ট না হয়ে আসমার উপর অত্যাচার নির্যাতন অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে আমজাদ এবং তার পরিবারের লোকজন আসমাকে একই কারণে মারধর করে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য ঘরে এক প্যাকেট বিষাক্ত দ্রব্য (স্থানীয় ভাষায় কেড়ির বড়ি) এনে টেবিলের উপর রেখে দেয়। কিন্তু বড়ির প্যাকেটটি ছিল অক্ষত। তার মানে নিহতের পরিবারের দাবি ওই প্যাকেট থেকে কোনো বড়ি খোলা বা খাওয়া হয়নি। তিনি আরো জানান, আমার বোনের ঠোঁটে কাটা দাগসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে এবং তার পরনের জামাকাপড় ছেঁড়া রয়েছে। তার দাবি তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।