রংপুরে দিনে হামলা রাতে পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নিধন

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

রংপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সংখ্যালঘু পরিবারকে দিনদুপুরে সন্ত্রাসী কায়দায় মারপিট করে রাতের আঁধারে তাদের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই সংখ্যালঘু পরিবারের চারজন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী কচুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া সরকার পাড়া গ্রামে। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই এলাকার বাসিন্দা সুধির চন্দ্র দাসের ছেলে সুখদীপ ও খিতিস চন্দ্র রায়ের মাছ চাষকৃত পুকুরে একই এলাকার বাসিন্দা মৃত খরকু মিয়ার ছেলে মোখলেছার রহমান কালটু মাছ ধরেন। এনিয়ে খিতিস চন্দ্র ও তার স্ত্রী পুষ্পা রানীর সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়। এরই এক পর্যায়ে কালটু মিয়া তার ভাই লেবু মিয়াসহ মৃত মজিবর রহমান এর ছেলে সুজা মিয়া, মাহাবুল মিয়া ও মৃত মাসুম আলীর ছেলে নাজমুলসহ তাদের পরিবারের কয়েকজন মিলে অতর্কিত হামলা চালায়।

এতে ওই সংখ্যালঘু পরিবারের ৪ জন পুষ্পা রানী, সুখদীপ রায়, পর্শুরাম ও রিক্তা রানী গুরুতর আহত হয়। তারা বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬নং ও ১৬নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে যে পুকুরে মাছ মারা নিয়ে গন্ডগোল সেই পুকুরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিষ ঢেলে মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে কাল্টু মিয়ার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা জানান, আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বলেই ওই এলাকার কালটু মিয়াসহ তার লোকজন আমাদের উপর জুলুম নির্যাতন চালায়, তাদের ভঙ্গিমা দেখে মনে হয় আমরা এখান হতে চলে গেলে তারা শান্তি পাবে। তারা আমাদের পুকুরে মাছ মারলো, আমাদের পরিবারকে কুপিয়ে জখম করলো, আবার ওই পুকুরে বিষ ঢেলে দিয়ে মাছ নিধন করলো। আবার উল্টো তারাই মামলা মোকদ্দমা না করার জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছে ।

তবে এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ কালটু মিয়ার লোকজন গন্ডগোলের কথা স্বীকার করে ও মাছ মারার কথাও স্বীকার করে। তারা দাবি করে বলেন, যে পুকুর নিয়ে সমস্যা সে পুকুর ৪ জনের নামে রয়েছে। আমাদের চারভাগের তিনভাগ খিতিষের একভাগ। এ বিষয়ে স্থানীয় মুদি দোকানদার মাহামুদুল ও মহব্বত আলী বলেন, আমরা স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার জন্য চেষ্টা করছি। তবে এ সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে খিতিস চন্দ্র রায় বলেন, আমার স্ত্রী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।