ঢাকা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কক্সবাজারে টানা ভারি বর্ষণ বড় ক্ষতিতে ছোট বরাদ্দ

কক্সবাজারে টানা ভারি বর্ষণ বড় ক্ষতিতে ছোট বরাদ্দ

ভারী বৃষ্টির জমা পানি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারে ৭টি উপজেলার অন্তত ৩০০ গ্রামে প্লাবিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত চলা ভারী বর্ষণে জেলার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। অনেক জায়গায় তলিয়ে গেছে আঞ্চলিক ও মহাসড়ক, গ্রামীণ উপ-সড়ক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে অনেক সড়ক। খাবার ও পানীয় জলের সংকটে পড়েছে প্লাবিত এলাকার লোকজন। তবে গতকাল শুক্রবার ভোররাত থেকে তেমন ভারি বর্ষণ না হলেও সারাদিন গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এদিকে রামু উপজেলার বন্যা কবলিত দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের পাশে ছুটে যান স্থানীয় সাংসদ হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল। এবং উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহাম্মদ শাহীন ইমরান। এ সময় তিনি রাজাপালং ইউনিয়নের দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা ত্রাণ বিতরণ করেন।

সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়া উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরী জানান, উপজেলার হলদিয়া পালং, জালিয়াপালং, পালংখালী ইউনিয়নের প্রায়সহ আসপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে, হলদিয়া, জালিয়াপালং ও পালংখালীর অর্ধশত গ্রামের অন্তত লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। খাবার ও পানীয় জলের সংকটে পড়েছেন পানিবন্দিরা। দুর্ভোগের চেয়ে ত্রাণ খুবই অপ্রতুল। তবে গতকাল সকাল থেকে পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান জানান, হঠাৎ পানি বাড়াতে লোকজন রান্নাও করতে পারেনি। রাতে রান্না করা খাবার পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে পৌঁছে দেয়ার হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলায় নয় উপজেলায় টেকনাফ ও মহেশখালী ছাড়া বাকি ৭টি উপজেলায় ৪৭ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫ লক্ষ টাকা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মমিনুল ইসলাম জানান, টানা ভারি বর্ষণে কক্সবাজার জেলার নয় উপজেলায় আমণের বীজতলা ৪৫১ হেক্টর, আউশ ধান ৫৩ হেক্টর, আমণ ধান ২১৬ হেক্টর ও ১২৫ হেক্টর সবজির বীজ তলার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার মতে, পানি কমে গেলে কৃষকরা ঘুরে দাড়াতে পারবে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, টানা বর্ষণে নদী ও খালে ঢল নেমেছে। অনেক উপজেলায় সৃষ্টি হয়েছে প্লাবন। এরমধ্যে উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং, জালিয়াপালং, পালংখালী ইউনিয়নে পানিবন্দি ঘরবাড়ি ও মানুষের সংখ্যা বেশি। জমে থাকা পানি নেমে গিয়ে দুর্ভোগ কমতে পারে বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে, প্রয়োজন মতো সহায়তা প্রদান করা যাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত