ঢাকা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চট্টগ্রাম

ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চট্টগ্রাম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবিতে ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে বিক্ষোভকারী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছে। এর মধ্যে আহত ৭০ জনকে চটগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪০ জনের চেয়ে বেশি গুলিবিদ্ধ রয়েছেন। গতকাল রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে চমেক হাসপাতালে আহতদের নিয়ে আসতে শুরু করে উদ্ধারকারীরা। এ সময় রেড ক্রিসেন্টদের সদস্যদের আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আসতে দেখা যায়। চমেক সূত্র জানায়, গুরুতর আহতদের মধ্যে তিনজন হাসাপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরা হলেন- মিনহাজ রনি (২৭), আদনান, শাহেদ। এছাড়া বাকি আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- মো. আলাউদ্দিন (২৬), সোহরাব হোসেন (২২), ফয়সাল (২৫), আশরাফুল (৩০), জাহাঙ্গীর (২৬), সৌরভ (২২), মনির (২২), চিশতী (২৮), তাহমিন (১৯), শান্ত ইসলাম (২২), মাঈনউদ্দিন (২৪), কাওছার হোসেন (২৪), মো. মারুফ (২৭), মাহবুব হোসেন (২৪), এহসান উল্যাহ (২৮), মো. শাহীন (২৬), শাহীন (২৪), আদিল (২৫), শাকিব উদ্দিন (২৩), রিদোয়ান (২৪), সাকিব উদ্দিন (২৩), ফারুক (২০), জয়নাল আবেদীন, সাজিদুল হক এবং আইনজীবী এস এম আবু তাহের। এদিকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেন। তবে সোয়া ১১টার দিকে সিটি কলেজের সামনের এলাকা থেকে সরকার সমর্থক একদল যুবক হঠাৎ বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা শুরু করে। এ সময় গুলির শব্দ শোনা যায়। বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। বেলা সোয়া ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দফায় দফায় গুলি ছোড়া হয়। দুপর ১২টার দিকে পুলিশও বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে নগরের নিউমার্কেট, আমতল, তিনপুলের মাথা, স্টেশন রোড়, কোতোয়ালীর মোড়, লালদীঘি ও টেরিবাজার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত