বর্তমানে চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে জাতীয় জীবনে শান্তি, জনসাধারণের নিরাপত্তা ও জনগণের দৈনন্দিন জীবন যাপনে স্বস্তি আনয়নে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সব পর্যায়ে সাংবিধানিক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির অনুসরণে জনগণের অধিকার সংরক্ষণ ও মর্যাদা নিশ্চিতকরণ গুরুত্বপূর্ণ বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মনে করে। এ প্রসঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ চলমান সহিংস পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, ‘এরই মধ্যে সারাদেশে বহুসংখ্যক মূল্যবান প্রাণহানি ঘটেছে যা অত্যন্ত মর্মপীড়াদায়ক। সব প্রকারের সহিংসতা ও নাশকতা পরিহার করে জনজীবনে শান্তি স্থাপনের প্রচেষ্টার প্রতি এর আগেও কমিশন বেশ কয়েকবার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এত বেদনাদায়ক ঘটনার পরেও আন্দোলনের তীব্রতা কমছে না। এ অবস্থায় পরস্পর বিরোধী পক্ষসমূহের মারমুখী অবস্থান ও প্রায়শ ঘটানো সহিংসতায় কোনো শান্তি আনার পরিবর্তে সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে ভবিষ্যতে অধিকতর দুর্ভাগ্যজনক প্রাণহানী ও নির্মমতার। এ পরিস্থিতিতে সব অস্থিরতা নিরসনপূর্বক স্থিতিশীলতা আনয়ন বিশেষভাবে প্রয়োজন। জাতীয় পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার পরিবেশ তৈরি হতে পারে সারা বিশ্বে স্বীকৃত আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে। এ জন্য সবার মাঝে সহযোগিতা, সহনশীলতা ও সহমর্মিতামূলক মনোভাব পোষণ করে সব পক্ষ সংলাপে অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন’। সব সংঘাত এড়িয়ে চলার উদ্দেশে সরকার ও আন্দোলনকারী পক্ষগণ সবাই মিলে সংক্ষুব্ধতার সব বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করার মাধ্যমে দেশে শান্তি আনয়নের চেষ্টায় ব্রতী হওয়ার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান সবার প্রতি সবিশেষ গুরুত্বের সাথে আহ্বান জানাচ্ছেন।
