নৌকাডুবিতে শিশুসহ ১০ রোহিঙ্গা লাশ উদ্ধার
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা বহনকারী একটি নৌকা ডুবির ঘটনায় ১০ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজারের টেকনাফ সাগর উপকুলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আরো ২১ জন নিখোঁজ এবং দুইজন জীবিত উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। মৃতদেহের মধ্যে তিন শিশু, পাঁচ নারী ও দুইজন পুরুষ রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সীমান্ত সূত্র জানিয়েছে, সকালে ৪টি নৌকাবোঝাই করে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুর রশিদ বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে আসার সময় টেকনাফ সাগর উপকূলে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা স্বজনদের কাছে নিহতদের মরদেহগুলো হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে। ডুবে যাওয়া নৌকায় ৩১ জন রোহিঙ্গা ছিল বলে বলে জানা গেছে।
এদিকে গত দুইদিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে হাজারো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা। এর মধ্যে অনুপ্রবেশ করা বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তাদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনায় ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আরো কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। যারা বিজিবি হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান জানান, গত সোমবার সকালে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ সংলগ্ন সাগরে মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকালে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরো ৪ শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এ নিয়ে পৃথক স্থান থেকে ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হল।
আব্দুল মান্নান বলেন, ভোরে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ সংলগ্ন সাগরে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার অনুপ্রবেশকালে ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিশুর মৃতদেহ গোলারচর সৈকতে ভেসে আসে। পরে স্থানীয়রা সৈকতে মৃতদেহ দেখতে পেয়ে উদ্ধার স্থানীয় এক মসজিদে নিয়ে আসে।
খবর পেয়ে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা স্বজনরা লাশগুলো নিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয় এ ইউপি চেয়ারম্যান।