ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ছাত্র নেতাদের নেতৃত্বে ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতান্ত্রিক জুলুমবাজ হাসিনা সরকারের পতনের মাধ্যমে জাতীয় জীবনে এক নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়েছে। বৈষম্য মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের পথ পরিষ্কার হয়েছে। এই ছাত্র-জনতাকেই মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ভূমিকা পালন করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী সমাজ আয়োজিত ‘বৈষম্য মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের উপায়’ শীর্ষক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিপ্লবী ছাত্র নেতাদের বৈষম্য বিরোধী চেতনার সঙ্গে ঐক্যমত পোষণ করে তিনি বলেন, বৈষম্য মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধানের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করলেই মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। বৈষম্য মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন হবে এবং সকল ধর্মের লোকেরা শান্তিপূর্ণভাবে যার যার ধর্ম পালন করতে পারবে।
সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং আল কুরআনের আইন-বিধানের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে এই সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা নাহলে সফল বিপ্লবের ফলাফল ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হবে। তিনি দেশবাসী সকলকে লুটপাট অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর বন্ধ করার জন্য পাড়ায় মহল্লায় কমিটি গঠন করে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
তিনি সাহসী বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে ধন্যবাদ জানান এবং আন্দোলনে আহত ও নিহত লোকদের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মাদ ইয়াছিন এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, সোলায়মান কবীর, আমীর হোসাইন, আজমুল হক, আসাদুজ্জামান বুলবুল, মো. নুরুদ্দিন, আবু বকর সিদ্দিক, সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
