ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু

২৪ দিন পর টোল আদায় শুরু হয়েছে
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু

কোটাবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতায় টোল প্লাজায় ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়ায় বন্ধ থাকা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ২৪ দিন পর টোল আদায় শুরু হয়েছে। তবে আপাতত বন্ধ থাকছে এক্সপ্রেসওয়ের বনানী ও মহাখালী টোলপ্লাজা। গতকাল রোববার বিকাল থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু হয়।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক হাসিব হাসান খান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই কর্মকর্তা বলেন, বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি ও মহাখালী টোলপ্লাজা বাদে বাকি টোলপ্লাজায় বেলা ৩টা থেকে টোল আদায় শুরু হয়েছে। আমাদের বিমানবন্দর, কুড়িল, তেজগাঁও, কুড়িল, বনানী-১ প্লাজা ঠিক আছে। এসব প্লাজায় আমরা আগের নিয়মে টোল আদায় করছি। হাসিব বলেন, বনানী (চেয়ারম্যান বাড়ি) এবং মহাখালী প্লাজা আপাতত বন্ধ থাকবে। কোম্পানি সিদ্ধান্ত নিলে পরে আমরা সেখানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায় চালু করতে পারব।

কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাতে বনানী ও ১৯ জুলাই বিকেলে মহাখালী টোলঘরে আগুন দেওয়া হয়। শত শত লোকজন টোলঘরে হামলা চালায়। আগুনে টোল বুথ, ছাউনি, সিস্টেম সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কারফিউ পুরোপুরি তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এটির নির্মাণ ও পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড। আগুনে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিকেলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল শুরু করে। এই বাহনগুলোর এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলে বিধিনিষেধ রয়েছে। অনেকে সেদিন হেঁটেও ঘুরেছেন এক্সপ্রেসওয়েতে। তবে টোল না থাকলেও শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমের উদ্যোগে দুই দিনের মধ্যে রিকশা, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়। এই সময় ব্যক্তিগত গাড়ি, বাস, ট্রাক টোল ছাড়া চলাচল করে। ২৪ দিন পর আবার টোল আদায় শুরু হলো। রাজধানীবাসীর বহুল কাঙ্ক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আংশিক গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি সম্পূর্ণভাবে নির্মাণ হলে রাজধানীর কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে যাওয়া যাবে অল্প সময়ে। এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এই উড়ালসড়ক। আপাতত ফার্মগেট পর্যন্ত চালু হয়েছে। ২০১১ সালে নেওয়া এই প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত