মেধা, বিজ্ঞান ও যুক্তি এতেই জাতির মুক্তি- এই প্রত্যয় নিয়ে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজ ও দেশ গঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিকনির্দেশনা প্রদানবিষয়ক এক সভায় এ আহ্বান জানান সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখের সভাপতিত্বে সকালে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মধুমতি সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, আমি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে খুশি, কেননা আমার মা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিসভার নারী সদস্য হিসেবে এ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে আমার এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসার কথা নয়। আমি মূলত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে থাকি। বাংলাদেশে গণতন্ত্রহীনতা ও নিরন্তর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ফলে সৃষ্ট ছাত্র-জনতার সফল বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব নন্দিত নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আমার এ দায়িত্বগ্রহণ। উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে সমাজের ভিত রচনা করেছি, তা ঘুণে ধরা। সবাই মিলে সমাজ সংস্কার করতে হবে, নতুন সমাজ গড়তে হবে। এ কাজে আমাদের বুদ্ধিদীপ্ত তরুণদের কাজে লাগাতে হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বিপ্লবী তরুণদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করবে। এ লক্ষ্যে পিছিয়েপড়া ও প্রান্তিক তরুণদের সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে। সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করে বলেন, নিজেদের শুধরে ফেলতে হবে। কোনোভাবেই আগের অবস্থায় ফেরত যাওয়া যাবে না। দপ্তরে সবার পরিচয় একটাই- সরকারি কর্মচারী। মেধাভিত্তিক দপ্তর গড়ে তুলতে হবে, এখানে কোনোভাবেই দলীয় রাজনীতি চলবে না। এ সভায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সমাজসেবা অধিদপ্তর ও এর আওতাধীন ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন সোপানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।