নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, ওসমান পরিবারে দুই সন্তান তারা কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তারা ছিল দখলবাজি, চাঁদাবাজিতে। বিভিন্ন কারখানায় প্রভাব, ডিশ ব্যবসা ও ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণই ছিল তাদের প্রধান কাজ। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাদের ব্যানার টানানো হতো। যে ব্যানারে তাদের ছবি এমনভাবে দেয়া হতো যে মানুষ দেখলেই তাদের ভয় পেতো। এভাবে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে তারা বিদেশে পাচার করেছে। দুবাইতে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এই গডফাদার শামীম ওসমানের সঙ্গে অনেক কাউন্সিলরও বিদেশে টাকা পাচার করেছে। এই অর্থপাচারকারীদের ছাড়া যাবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার নারায়ণঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হাজী ইব্রাহিম শপিং কমপ্লেক্স এলাকায় অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই স্বৈরাচারী সরকারের এক সন্ত্রাসী গডফাদার ছিল। সে খেলা হবে, খেলা হবে বলে অনেক হুংকার দিয়েছিল। আজ সে পলাতক। ওয়ান ইলেভেনের সময় আমরা যখন আইনের কাছে আত্মসমার্পন করেছিলাম, তখন সে অপরাধী বলে বোরকা পড়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যায়। পরে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর দেশে ফিরে সে পুণরায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। তার দল ভালো করেই জানতো বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী সে (শামীম ওসমান)। তাই তাকে দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নেতা বানায় নাই। সে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে জনসভা করতো। গার্মেন্ট বন্ধ করে, স্কুল-কলেজ বন্ধ করে, কলকারখানা বন্ধ করে, ভাড়া করে জোরপূর্বক সবাইকে তার জনসভায় নেয়া হতো। তার দলের অনেক নেতাকর্মী আমাদের বলেছে, তার বক্তব্যে আমরা লজ্জিত হই।