নির্বাচন কখন হবে তা ভারত নয়, জনগণই নির্ধারণ করবে

সারজিস আলম

প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর দেশত্যাগ করা শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে সাম্প্রতিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, জয় আমেরিকায় বসে তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচন দিতে ভারতকে চাপ দিতে বলেছেন। ১৬ বছর অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে তিনি হয়তো ভুলে গেছেন বাংলাদেশ একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এ দেশে নির্বাচন কবে হবে তা অন্য কোনো দেশ নয়, এ দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত নারায়ণগঞ্জের সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. আমানতের জানাযার নামাজে অংশগ্রহণ শেষে জেলা সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুমে ফেরা নিয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। তবে এখন দেশ গড়ার পালা। দেশের স্থিতিশীলতার জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এজন্য আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীকে কর্মস্থলে ফিরে আসতে হবে এবং রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে হবে। তাই শিক্ষার্থীদের আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করবো আগামীকাল রোববার থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বাগত জানিয়ে তারা যেন ক্লাসে ফিরে যান।’ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ার কাজে এক সঙ্গে চলবে।

কোটা আন্দোলনে যারা গণহত্যা করেছে তাদের সবার বিচারও নিশ্চিত করা হবে। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের অনেককে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। তিনি আরো বলেন, গণহত্যার মূল হোতা শেখ হাসিনা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে অবস্থান করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশে উস্কানিমূলক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা ছাড়াই জনগণ স্বত:স্ফূর্তভাবে তা রুখে দিয়েছে। দেশকে আবারো অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে জনগণই তা রুখে দেবে। জনগণ যে স্বাধীনতা অর্জন করেছে সেটি রক্ষার দায়িত্ব তারাই নেবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক ফারহানা মানিক মুনাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।