খাতুনগঞ্জে আসছে পাকিস্তান ও চীনের পেঁয়াজ

প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চট্টগ্রাম ব্যুরো

সম্প্রতি দেশে সরকার পতনের পর দ্রব্যমূল্যের বাজার ব্যবস্থায় এর প্রভাব পড়েছে। কিছু দাম কমলেও ভোগ্যপণ্যর বাজারের প্রভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম কমতে দেখা যায় নি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা এসব নিত্যপণ্যের দাম আগের মতই আছে ? বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম কমছে না কিছুতেই। বাজারে মানভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১১৫ টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় খাতুনগঞ্জের বাজারে ঢুকছে চীন ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ। বড় আকারের এসব পেঁয়াজের চাহিদা কম, দামও ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে কম। গৃহস্থদের পছন্দ দেশি বা ভারতীয় পেঁয়াজ। ভোগ্যপণ্যের বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বললেই চলে। আমদানি করা ভারতের পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯৫-৯৭ টাকা। এর বিপরীতে পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, চীনা বড় পেঁয়াজ ৬০ টাকা। খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ মার্কেট আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বললেই চলে। ৮-১০ দিন হলো পাকিস্তান ও চীনের পেঁয়াজ আড়তে বিক্রি হচ্ছে। দাম কম হওয়ায় এসব পেঁয়াজ খাবার হোটেলগুলোতেই চলে। তিনি জানান, ডিসেম্বরে দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হবে আশাকরি। চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে চীন ও পাকিস্তানের পেঁয়াজের দুইটি চালান খালাস হয়েছে। তিনি জানান, পেঁয়াজের মতো পচনশীল পণ্য যাতে দ্রুত খালাস হয় সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা। বাজারে চীন ও পাকিস্তানের পেঁয়াজ সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।