ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হান্নানের পরিবারের দায়িত্ব কে নেবে

হান্নানের পরিবারের দায়িত্ব কে নেবে

সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালিন সময়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বেস বাশারস্থ জি ই (বিমান) তেজগাঁও থেকে অফিস শেষ করে একমাত্র ছেলে সাইফ আহমেকে নিয়ে গত ৫ আগস্ট মো. আব্দুল হান্নান খান মটরসাইকেলযোগে মিরপুর-১৩ নিজ বাসায় ফিরছিলেন, ঠিক মিরপুর-১৪ মোড় থেকে কাফরুল থানার কাছাকাছি পৌঁছালে সামনে সশস্ত্র অবস্থায় বেশ কিছু পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়।

পথচারিরা বলছিলেন সামনে গুলাগুলি হচ্ছে সামনের দিকে যেতে নিষেধ করেন তখন ছেলে সাইফ মোটরসাইকেলের পিছন থেকে নেমে বাবাকে বলে বাবা মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে নাও। এই বলে ছেলে একটু সরে যেতে না যেতেই তার বাবার চিৎকার আমাকে বাঁচাও আমার গায়ে গুলি লেগেছে বলেই মটরসাইকেলসহ মাটিতে লুটিয়ে পরে। ছেলে সাইফ আহমে খেলো সামনে থাকা পুলিশই তার বাবাকে গুলি করেছে। তখন সময় আনুমানিক সন্ধা ৭টা। সাইফ মোটরসাইকেল রেখে পথচারিদের সহযোগিতায় তার বাবাকে ওখান থেকে সরিয়ে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সিএনজি যোগে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে জান এবং হাসপাতালের কর্ত্যবরত চিকিৎসক আব্দুল হান্নানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের মর্চুয়ারিতে লাশ ২ দিন রাখার পর ৭ তারিখ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার সাথিয়া থানার এদ্রাকপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। মো. আব্দুল হান্নান খান এম ই এস (বিমান)/১৩০০৭৭ চার্জহ্যান্ড হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে সাইফ আহমে কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র আর মেয়ে প্রাইমারী স্কুলে পড়ে। তার পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। এখন এই পরিবার কিভাবে চলবে সেই চিন্তায় তারা দিশেহারা। যে মটরসাইকেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল সেই মোটরসাইকেলের হদিস আজও পাওয়া যায়নি। মটরসাইকেলের রেজি. নং-ঢাকা মেট্রো-হ ৫৫-৯৬৫৯। বর্তমান সরকারের কাছে তার ছেলে সাইফ আহমেদের আকুল আবেদন তার বাবাকে কাফরুল থানা পুলিশ হত্যা করেছে এর সঠিক বিচার যেন হয় এবং তাদের এই দুঃসময়ে সরকার যেন তাদের পাশে থাকে। খাফরুল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত