ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিচারপতি মানিককে কোর্টে গণপিটুনি

৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
বিচারপতি মানিককে কোর্টে গণপিটুনি

সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তে আটক সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এএইচ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকাল ৪টার দিকে তাকে সিলেট জজকোর্টে আনা হলে উত্তেজিত লোকজন তাকে মারধর করেন। এ ব্যাপারে পুলিশ লোকজনকে নিবৃত করে তাকে দ্রুত কোর্টের ভেতরে নিয়ে যায়। সিলেটের কোর্ট ইন্সপেক্টর জমসেদ আলম জানান, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসেনের আদালতে তাকে তোলা হয়। পুলিশ তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতারের আবেদন জানায়। আবেদনে পুলিশ জানায়, বিচারপতি শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন আদালতে হত্যা মামলা রয়েছে। তাই, আসামিকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো প্রয়োজন।

আদালত আসামিকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আদালত প্রাঙ্গণে লোকজন বিচারপতি মানিককে মারধরের চেষ্টা করে বলে স্বীকার করেন পুলিশ কর্মকর্তা জমসেদ আলম। গত শুক্রবার রাতে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে সিলেটের কানাইঘাট দনা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে আটক করে বিজিবি। পরে তাকে দনা ক্যাম্পে তাদের হেফাজতে রাখা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দিনের কোনো এক সময় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে দনা সীমান্ত এলাকা পাড়ি দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। পরে সেখানে তাকে স্থানীয় কিছু লোকজন আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তার নাম শামসুদ্দিন মানিক পরিচয় দেন। একটি ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা গেছে, টাকা লাগলে তিনি দিবেন, তার ভাই-বোন দিবেন। তিনি এও বলেন, আমি এদেশে এত কষ্ট করে এসেছি কি বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার জন্য?

স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিনসহ এলাকার আরো অনেকে জানিয়েছেন, দনা পাতিছড়া গ্রামের রফিকুল হোসেনের ছেলে সাদ্দামের সহায়তায় অবৈধভাবে শুক্রবার বিকালের দিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। পরে তাকে দনা বিজিবির সদস্যরা আটক করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যান। সাদ্দাম হোসেনের বসতবাড়িটি বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তঘেঁষা। তার বিরুদ্ধে ভারতে অবৈধভাবে বিভিন্ন সময়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগ রয়েছে। বিজিবির সদস্যদের হাতে আটকের পর বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে। ভিডিওতে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিককে বিষন্ন অবস্থায় কলা পাতায় শুয়ে থাকা অবস্থায় কথা বলতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত