ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সচিবালয়ের নিরাপত্তা জোরদার নেই কোনো আন্দোলনকারী

সচিবালয়ের নিরাপত্তা জোরদার নেই কোনো আন্দোলনকারী

কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর সদস্যরা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন সচিবালয়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও সুপ্রিমকোর্টের সামনে।

গত রোববার তারা সচিবালয় ঘেরাও করে সেখানে অবস্থান করেন। সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। রাতে একপর্যায়ে আনসার বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচিবালয় এলাকা ও প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এরই ফলশ্রুতিতে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয় এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ফলে সকাল থেকে ওই এলাকায় কোনো আন্দোলনকারীর দেখা মেলেনি।

সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করে এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিন দেখা যায়, সচিবালয়ের সামনের আব্দুল গনি সড়কে জনসাধারণের চলাচলও রয়েছে সীমিত। রেল ভবনের সামনে থেকে গুলিস্তানের দিকে যেতে এই রাস্তায় রয়েছে সেনাবাহিনীর একটি এপিসি। এছাড়া সচিবালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান করছেন সেনাসদস্য ও পুলিশ সদস্যরা। এছাড়া সেখানে র‍্যাবের গাড়িও দেখা গেছে। এর আগে রোববার সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন আনসার সদস্যরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়বেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘সবাই রাজুতে (ঢাবির রাজু ভাস্কর্য) আসেন। স্বৈরাচারী শক্তি আনসার হয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে। দাবি মানার পরও আমাদের সবাইকে সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়েছে।’

ফেসবুকে একই পোস্ট করেন আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলমও। রাতে রাজধানীর টিএসসি রাজু ভাস্কর্যে জমায়েত হন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে এগিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পরই শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা। এরপর রাতেই ডিএমপি জানায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনার আশেপাশের এলাকায় কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

গত রোববার রাতে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানের আদেশে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে গতকাল সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাস ভবনের (যমুনা) আশপাশের এলাকায় কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত