রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, কারো কোনো যৌক্তিক দাবি-দাওয়া থাকলে তা যথামাধ্যমে উত্থাপন করতে হবে, হঠকারী কিছু করা যাবে না। হঠকারী কাজ করলে তার দায়ভার নিজে বহন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা আমাদের নজরদারীর ভূমিকা পালন করছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন বিভাগীয় দপ্তরের দপ্তর প্রধান এবং জেলা প্রশাসকরা সভায় অংশগ্রহণ করেন। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে এবং অল্প দিনেই পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এ সময় তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রাপ্তি বিঘ্নিত হলে বিভাগীয় প্রশাসনকে অবহিত করতে অনুরোধ করেন। ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি গেট খুলে দেয়ার সংবাদে জনমনে বন্যার ভীতি ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, গেট খুলে দেয়ায় রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে কয়েক সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে এবং আরো কিছুটা বাড়বে তবে বন্যার সম্ভাবনা কম। বিভাগের সব জেলাতেই নদীর পানি বিপদ সীমার বেশ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং এ বিষয়ে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে। সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজশাহী বিভাগে মোট ১ হাজার ২৪২ জন হাসপাতালে আসে যার মধ্যে ৮৯৬ জন তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে। অবশিষ্ঠরা ভার্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে এবং বেশিরভাগই চলে গেছে। মানকি পক্স প্রসঙ্গে জানানো হয় দেশে এখনো মানকি পক্স দেখা যায়নি। সোনা মসজিদ বর্ডারে এ বিষয়ে মনিটরিং টিম কাজ করছে বলে সভাকে অবহিত করা হয়। শিক্ষা দপ্তর থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দপ্তর প্রধানদের হেনস্তা হওয়া প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হলে বিভাগীয় কশিশনার বলেন, কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধ অভিযোগ থাকলে তা জানাতে হবে, তার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। ছাত্রদের উস্কে দিয়ে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় বিভাগীয় কমিশনার জানান, মহানগরের ৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয়েছে এবং ঐসব প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার বা তার মনোনীত কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছে।