দোকান বরাদ্দের মাধ্যমে পুর্নবাসন চায়

ফুলবাড়িয়া মার্কেটের ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই যুগ আগে বেহাত হওয়া দোকান বরাদ্দের মাধ্যমে পুর্নবাসন চেয়েছেন ফুলবাড়িয়া আদর্শ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। গতকাল বুধবার বেলা ১২টায় সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। ফুলবাড়িয়া আদর্শ মার্কেট ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেডের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সমিতির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ সাইদ তাদের দাবি তুলে ধরে বলেন, ফুলবাড়িয়া আদর্শ মার্কেট ক্ষতিগ্রস্ত দোকাদার কল্যাণ সমবায় সমিতি লি. এর ক্ষতিগ্রস্ত দোকাদারদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দোকান বরাদ্ধ পাওয়ার মাধ্যমে পুর্নবাসন চাই। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৫ সনের ২৭ নভেম্বর (বঙ্গবাজারসহ) আমাদের আদর্শ মার্কেট আগুন লেগে পুড়ে যায়। মার্কেট পুনঃনির্মান করে ব্যবসা শুরু করি। ২০০০ সালের ২০ মার্চ আওয়ামী গুন্ডা বাহিনী সন্ত্রাসী মহড়া দিয়ে মার্কেট ছাড়ার হুমকি দিয়ে যায়। ২০০০ সালের ২০ মে মেয়র মো. হানিফ সাহেবকে স্বারকলিপি দেই। ২২ মে সিটি করপোরেশনের ছত্রছায়ায় আমাদের আদর্শ মার্কেট দখল করে নেয়।

এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, আমাদের দোকানে রক্ষিত মালামাল আত্মসাৎ করে। দখল/উচ্ছেদের এগিনেষ্টে দেওয়ানী আদালতে ১১৫নং এষ্টেটাস কো এন্ট্রি মোকদ্দমার জয় লাভ করে মার্কেটের দখল বুঝে পাই নাই। বিবাদীরা ও সিটি কর্পোরেশন হাইকোর্টে আপিল করে মহামান্য হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন। মোকদ্দমা নং ৫৯৩৩। ১০/০৩/২০০১ইং তারিখে আমাদের দোকানের মালামাল আত্মসাৎ, লুটপাট করে নিয়েছে। সেই মর্মে ওসি রমনা আমাদের পক্ষে প্রতিবেদন দিয়েছেন। ২০১৪ সালে অদৃশ্য কারণবসত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সুপ্রিমকোর্টে আমাদেরকে হারিয়ে দেয় কোর্ট নং (৩) তিন। তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালের ২৬ মার্চ মেয়র মো. হানিফ সাহেবের কাছে দোকান বরাদ্ধ চাই। মেয়র সাঈদ খোকন সাহেবের কাছেও আবেদন করেছিলাম। ০৯/০৯/২০১৮ তারিখে মেয়র ফজলে নূর তাপস সাহেবের কাছে পুর্নবাসনের মাধ্যমে দোকান বরাদ্ধ চেয়েছিলাম। ১১/০৯/২০১৮ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পূর্ণবাসন চেয়ে আবেদন করেছিলাম। সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন মেয়ররা আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করে আওয়ামী নেতাকর্মীদের নামে-বে নামে আত্মীয়-স্বজনের নামে-বে নামে দোকান বরাদ্ধ দিয়েছে। সৈয়দ মুহাম্মদ সাইদ বলেন, আমরা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার হিসেবে দোকান বরাদ্ধ পাওয়ার হকদার। আমাদেরকে সিটি কর্পোরেশনের যে কোনো মার্কেটের ফ্লোর বরাদ্দ দিলে/পাইলে, ধার্য্যকৃত নির্মাণ ব্যায় পরিশোধ করব। এ সময় তিনি জানান, এর আগে ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেছেন, সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্বারকলিপি দেয়ার কথা জানান।