বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঢামেকে মৃত্যু ১৭২

ময়নাতদন্ত হয়েছে ৮৫ শতাংশের

প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢামেক হাসপাতালে মোট ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ জন হাসপাতালে মারা গেছেন এবং ৮৮ জন মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল।

হাসপাতাল পরিচালক গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে গুলির আঘাতে, বিশেষ করে হেডশট ও বুকে গুলির কারণে। মৃতদের ৮৫ শতাংশের ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়েছে। ময়নাতদন্ত না হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের কাজ পুলিশের দায়িত্ব। পুলিশ কেস হলে মর্গে লাশ পাঠানো হয় এবং ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ ময়নাতদন্ত করে। প্রথম ধাপে, ১৫ থেকে ২২ আগস্টের মধ্যে মৃত্যুর শিকার সবার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ধাপে মৃত অবস্থায় আসা কিছু লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি, কারণ প্রায় এক সপ্তাহ পুলিশ ছিল না। কিছু পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্তে বাধা দিয়েছেন, যদিও তাদের বোঝানো হয়েছিল যে বিচারের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরো জানান, যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মারা গেছেন, তাদের সব তথ্য রয়েছে এবং তাদের ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। তবে মৃত অবস্থায় আসা ব্যক্তিদের সঠিক তথ্য না থাকায় তাদের সার্টিফিকেট দেয়া সম্ভব হয়নি। বেওয়ারিশ লাশ সম্পর্কে ব্রিগেডিয়ার আসাদুজ্জামান বলেন, কিছু লাশের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করেছে। যেমন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সবুজ মিয়ার পরিচয় ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে জানা গেছে। যাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, তাদের লাশ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামকে দেয়া হয়েছে। সঠিক সংখ্যাটি পুলিশ জানাতে পারবে।