রংপুরে সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ ১৭৪ জনের বিরুদ্ধে ২ মামলা

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে সংঘটিত হত্যা, নাশকতা ও ভাঙচুরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৭৪ জনের বিরুদ্ধে আরো ২টি মামলা মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় সাবেক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আহমেদ, সাবেক স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ ১২৮ জনের নাম আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া একজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অন্য একটি মামলা করা হয়েছে।

মামলার আইনজীবী জানান, গত ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের বিক্ষোভ চলার সময় রংপুর মহানগরীর মিনি সুপার মার্কেটের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র এবং লাঠিশোঠা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় বাবা আব্দুল মজিদকে দুপুরের খাবার দিতে এলে ঐ এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় হামলাকারীরা মাহমুদুল হাসান মুন্নাকে লাঠিশোঠা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, সাবেক স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক এমপি মোতাহার হোসেন, মতিয়ার রহমান, সফুরা খাতুন, আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, সাবেক বদরগঞ্জ পৌর মেয়র টুটুল চৌধুরী, বদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী সুইট, লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাকিবুজ্জামান আহমেদ, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডলসহ ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের নামে হত্যা মামলা করেছেন নিহতের বাবা আব্দুল মজিদ।

অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজু আহমেদ বাবু মামলাটি আমলে নিয়ে মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানাকে মামলাটি রেকর্ড করার আদেশ দিয়েছেন।

এছাড়া, একই আদালেত ১৯ জুলাই ছাত্রজনতা আন্দোলনে অংশ গ্রহনকারী রংপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সক্রিয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী জিম গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন বাবা রবিউল ইসলাম। দুপুরে আরো একটি মামলা হয়েছে একই আদালতে। এ মামলার আইনজীবী আলাউদ্দিন আলমগীর জানান, এই হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, আইজিপি, পুলিশ কমিশনারসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ১৯ জুলাই রংপুর সিটি পার্ক মার্কেটের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্বিচার গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় জীম। তার চোখের মধ্যে এখনো গুলি লেগে আছে। বের করা যাচ্ছে না জীম এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বেঁচে আছে।