বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জাপানের সহযোগিতা চাইলেন

কৃষি উপদেষ্টা

প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে সাম্প্রতিক বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী জাপানের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান। সাক্ষাৎকালে দুই দেশের কৃষি, পুলিশ, জাপানের নাগরিকদের নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা ও দেশের সাম্প্রতিক বন্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দেশে সাম্প্রতিক বন্যায় আমনসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী জাপানের সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশে বসবাসরত জাপানি নাগরিক, তাদের অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প ও ইপিজেডে বিভিন্ন শিল্প কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ে দেশটির উদ্বেগের কথা জানালে উপদেষ্টা এ বিষয়ে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।

দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সরকার এরই মধ্যে নানামুখী পদক্ষেপ দিয়েছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়েছে। চলমান অভিযানে সন্ত্রাসীদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ পুলিশকে জনবান্ধব করতে জাপানের সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক প্রশিক্ষণ প্রদানে তার দেশের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জাপানের সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলেন, জাপান সরকারের ‘জাপান প্ল্যাটফর্মের’ আওতায় এনজিওর মাধ্যমে বন্যা দুর্গত এলাকায় বিভিন্ন সেক্টরে সহযোগিতা দেবে। এ জন্য তার সরকার জাপান প্ল্যাটফর্মকে ২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। বাংলাদেশ কৃষিতে অধিক উৎপাদন করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, সরকারের পাশাপাশি জাপানের বেসরকারি খাতও বাংলাদেশের কৃষি খাতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি বন্যার আগাম পূর্বাভাস ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে জাপান সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে উপদেষ্টাকে জানান। মিয়ানমার হতে প্রত্যাগত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও স্থানীয় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সবসময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে। সেখানে কাজ করা জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে থাকে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। তাদের নাগরিক দেশে নিরাপদ নয়। অপরাধীরা মিয়ানমারে মাদক উৎপাদন করে তা আমাদের দেশে পাচার করে। সরকার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। পাশাপাশি মাদক পাচার রোধেও কঠোর অবস্থান নিয়েছে। মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের দেশে ফেরত যেতে হবে বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।