৭ মাসে ৮০ দিন ছুটি

দায়িত্ব পালন ছাড়াই নিচ্ছেন লাখ টাকার বেতন

প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালন ছাড়াই বাড়িতে বসে লাখ টাকার বেতন নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরকার পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, ট্রেজারারসহ ৪০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। তাদের পদত্যাগে বিশ্ববিদ্যালয় অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে একমাত্র দায়িত্বে বহাল থাকা ব্যক্তি রেজিস্ট্রার আলমগীর চৌধুরী এই পরিস্থিতিতেও নিজের ইচ্ছামতো ছুটি কাটাচ্ছেন । জানা যায়, প্রথম নিয়োগের পর থেকেই তিনি অনিয়মিত অফিস করেন। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে শেষ নিয়োগ পাওয়ার পর অনিয়মিত তো বটেই, বেশির ভাগ দিন ছুটি কাটিয়েছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য ও একমাত্র আবাসিক কর্মকর্তা হিসেবে রেজিস্ট্রারের অনুপস্থিতিতে স্বাভাবিক কাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় কোনো প্রশাসন না থাকায় অনিরাপদ বলেও মনে করেন শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে রেজিস্ট্রার চলে যাওয়ায় প্রশাসনের মধ্যে চলছে সমালোচনা। বেরোবির বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ৩য় বারের মতো চুক্তিভিত্তিক তাকে পুনঃনিয়োগ দেয়া হয়। সর্বশেষ নিয়োগ পাওয়ার পর ৩০ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত ৮৬ দিনের মধ্যে ৫৩ দিনই ছুটি কাটিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি মাসে লাখ টাকা বেতন নেয়া রেজিস্টার আলমগীর চৌধুরী। মাঝে ২০ দিন বিরতি দিয়ে আবার টানা ৪০ দিনের ছুটি কাটাতে দেশের বাইরে যান। আবারো ৭ আগষ্ট অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে তার নিজ বাড়ি চট্রগ্রামে চলে যান। কতদিনে অফিসে যোগদান করতে পারবেন তা উল্লেখ করেনি। তবে চিঠিতে তিনি লেখেন, সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে যোগদানের আশা রাখি। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন শুনে ৯ আগস্ট রাতে ক্যাম্পাসে তড়িঘড়ি করে চলে আসেন। এরপর আবার ২ সেপ্টেম্বর কাউকে না জানিয়ে ছুটিতে চলে গেছেন বলে প্রশাসনিক ভবন থেকে জানা যায়।