ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ

প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালেও দিনমজুর হিসেবে কাজ খুঁজতে বের হন আনু মিয়া। সকাল সকাল আসেন মোহাম্মদপুর টাউন হল মোড়ে। কিন্তু কাজ জোটেনি। ৬ ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফিরতে হয়েছে তাকে। এভাবেই গণমাধ্যমের সঙ্গে হতাশার কথা জানালেন পঞ্চাশোর্ধ আনু মিয়া। তিনি বলেন, ‘মার্কেটে গেছিলাম সকালে। কিন্তু কেউ ওই রকম লেবার নিতে আসে নাই। বৃষ্টি হইতাছে তো, কাম করা যাইবো না, তাই কেউ আহে নাই।’

সকালে বৃষ্টি দেখেও জীবিকার তাগিদে রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন মো. রাসেল। পায়ে চালিত রিকশার এই চালক জানান, সড়কে যাত্রীর সংখ্যা কম। একই সঙ্গে পায়ে চালিত রিকশায়ও চড়ছেন খুব কম মানুষ। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে নগরীর আগারগাঁও এলাকার এই রিকশাচালক বলেন, ‘সবাই খালি অটো রিকশা খোঁজে। বৃষ্টির মধ্যে অটোরিকশা তাড়াতাড়ি যাইবো, গায়ে বৃষ্টি কম লাগবো, এই জন্য। অটোরিকশা যে এই বৃষ্টিতে উল্টাইয়া যাইতে পারে, এইডা যাত্রী বোঝে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘সকালে বাইর হইছি। ভাড়া মারছি ১৮০ টাকা। দুপুর তো হইয়া গেছে।’

আবার যাত্রী না পাওয়ার দাবি করেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরাও। দৈনিক এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা আয় করা রিকশাচালকদের আয় আজ পাঁচশো টাকার নিচে নামতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা। এদিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ফুটপাতে চায়ের দোকানগুলোতে খদ্দের সংকট। অলস সময় পার করছেন দোকানিরা। শরবত বিক্রির দোকানগুলোতে একাই দাঁড়িয়ে আছেন দোকানি। কোথাওবা দোকান ভিজছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে, দূরে দাঁড়িয়ে দোকানি নিজেকে বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করছেন।

বৃষ্টির কারণে নগরীর গুলশান এলাকার ফুটপাতে বসা অনেক চায়ের দোকান আজ খোলাই হয়নি। বন্ধ আছে বিকাশের দোকান। দু-চারটা সিগারেটের দোকান খোলা থাকলেও সেখানে ধোঁয়া নেই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত