ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কোটা আন্দোলনে ছেলেকে হারিয়ে দিশাহারা পরিবার

কোটা আন্দোলনে ছেলেকে হারিয়ে দিশাহারা পরিবার

অল্প বয়সে স্বামীকে হারিয়ে একমাত্র ছেলেকে বুকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চেয়েছিলাম। তা আর হলো না। এই পৃথিবীতে থেকে লাভ কি। কাকে নিয়ে থাকব। আল্লাহ আমাকে এত বড় আঘাত দিলো কেন, যা আমি সহতে পারছি না। কান্না জড়িত কণ্ঠে এই সব কথা বলেন, কোটা আন্দোলনে নিহত ইয়াছিনের মাতা মনজিলা বেগম। কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় রাজধানীতে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন খুলনার ইয়াছিন (১৭)। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পরিবারের লোকজন সবাই এখন দিশাহারা। দুইমাস পার হলেও ইয়াছিনের পরিবারের কান্না ও আহাজারি এখনো থামছে না। খুলনার রুপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের রহিমনগর গ্রামে নিহতের ভাড়াবাড়িতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

গত ২১ জুলাই (রোববার) কোটাবিরোধীদের সংঘর্ষে রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকায় কাজ শেষ করে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয় ইয়াছিন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) মারা যায় ইয়াছিন। পরদিন ২৬ জুলাই বুকের ভেতর গুলি রেখেই ময়নাতদন্ত করে এলাকাবাসি চাদা তুলে তার গ্রামের বাড়ি কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ইয়াছিন খুলনার রুপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের রহিমনগর গ্রামের মৃত নুর ইসলাম শেখের ছেলে। মাতা মনজিলা বেগম এর সাথে যাত্রাবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন। ঢাকার একটি গ্যাসের দোকানের কর্মচারী ছিল। ছোট একটা কাজ করে মাকে নিয়ে সংসারের খরচ মেটাতেন। এদিকে ইয়াছিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুর দুইমাস পার হয়ে গেলেও তার খোঁজখবর নেয়ার জন্য এখনো কেউ তার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি। ছোট বেলায় পিতাকে হারিয়ে অনেক কষ্টে মানুষ হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত