সৌদি ফেরত যেতে চান প্রবাসীরা

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সৌদি আরব ফেরত যেতে চান আন্দোলনে অংশ নিয়ে শাস্তি পাওয়া প্রবাসীরা। গত ১৯ জুলাই আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে তারা বিক্ষোভ করেছিলেন। তাদের মধ্যে ২১৮ জনকে আটক করে সৌদি পুলিশ। পরে সবাইকে ৪১ দিনের কারাভোগের পর দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এসব প্রবাসীরা পুনর্বাসনসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘সৌদি আরব ফেরত প্রবাসী’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এসব দাবি জানান।

এতে উপস্থিত প্রবাসীরা বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছিলাম। যার কারণে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে। এক কাপড় আমাদের ফেরত আসতে হয়েছে। আমরা পুনরায় সৌদি আরবে কাজে ফিরে যেতে চাই। সে জন্য বর্তমান সরকারের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

আব্দুল আজিজ নামের এক প্রবাসী বলেন, প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধারা দেশের প্রতি ভিন্ন রকম আবেগ-অনুভূতি নিয়ে সেখানে বাস করেন। দেশের যে কোনো সংকটে প্রবাসীদের উদ্বেগ থাকে বেশি। বিগত জুলাই মাসে সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর স্বৈরাচারের চরম দমন-নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ দেখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা রেমিট্যান্স শাডডাউন কর্মসূচির পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। এতে সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের প্রবাসীরা সেসব দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রোষানলে পড়েন। পাশাপাশি স্বৈরাচারী সরকারের তরফ থেকেও তাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করা হয়। ফলে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি সেদেশে মামলা ও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হন। পাইকারি হারে প্রবাসীদেরকে ধরে ধরে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। পলাতক স্বৈরাচারের অসহযোগিতার কারণে এসব প্রবাসীদের অনেককেই সেখানে জেল খাটতে হয়েছে। অনেককে জেল থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আনোয়ার হোসেন নামের একজন বলেন, গত ১৯ জুলাই সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করায় ২২৮ জন বাংলাদেশি প্রবাসীকে সেদেশের কর্তৃপক্ষ কারাগারে পাঠায়। সেখানেও আমাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও জুলুম করা হয়েছে। ৪১ দিন জেল খাটার পর আমাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে আরব আমিরাতের প্রবাসীদের সমস্যা কিছুটা লাঘব হলেও সৌদি ফেরত ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের উদ্ধার বা তাদের সহযোগিতায় কোনো পদক্ষেপ এখনো দৃশ্যমান নয়।