ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রধান বিচারপতির ১২ নির্দেশনা

বিচারপ্রার্থীদের উন্নত সেবা দিতে হবে

বিচারপ্রার্থীদের উন্নত সেবা দিতে হবে

বিচারপ্রার্থীদেরকে উন্নত সেবা প্রদানে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি ১২ দফা সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত সহকারী রেজিস্ট্রার থেকে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এ নির্দেশনা প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

এ নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে, দায়িত্ব পালনে কোড অব কন্ড্যাক্ট যথাযথভাবে পালন করতে হবে, দায়িত্ব পালনকালে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন সম্পূর্ণভাবে বর্জন করতে হবে, সেবাগ্রহীতাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেবা নিশ্চিত করতে হবে, সেবা প্রদানের সময় কোন প্রকার বিলম্ব সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য করতে হবে, সেবা গ্রহীতাদের কোন প্রকার হয়রানি করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে সেবা গ্রহীতাদের সাতে সভানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে, প্রতিটি শাখায় প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন সম্পন্ন করতে হবে এবং কোন কাজ পেন্ডিং রাখা যাবে না, প্রত্যেক শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রারগণকে তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখাসমূহে প্রতিদিন সরেজমিনে মনিটর করতে হবে, প্রত্যেক শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রারগণ তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখার কার্যক্রম সম্পর্কে স্ব স্ব অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারগণকে নিয়মিত অবহিত করতে হবে, উক্ত মনিটর কার্যক্রম ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে, প্রতি ৪ সপ্তাহ পর পর অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারগণ মনিটরিং কার্যক্রমের প্রতিক্রিয়া ও ফলাফল রেজিস্ট্রার আপীল ও হাইকোর্ট বিভাগ এবং রেজিস্ট্রার (বিচার) এর নিকট রিপোর্ট করবেন এবং যদি কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী আচরণবিধি এবঙ উপরিউল্লিখিত নির্দেশনা ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো সেবা গ্রহীতাকে হয়রানি করেন বা আর্থিক লেনদেন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে আগত বিচারপ্রার্থীদের উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাদের দাপ্তরিক কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট রুলস, বিভিন্ন সময়ে জারিকরা প্র্যাকটিস ডাইরেকশন, সার্কুলার ও অন্যান্য নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

বিচারসেবা প্রত্যাশী জনসাধারণ ও তাদের নিযুক্ত আইনজীবীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার ও উন্নত সেবা দেওয়ার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট সেবা প্রদানের উৎকর্ষতায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ তৈরি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৩৮টি শাখা ও আপিল বিভাগে ১৯টি শাখা রয়েছে। একজন রেজিস্ট্রার জেনারেল, তিন জন রেজিস্ট্রার, চার জন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, একজন স্পেশাল অফিসার, ১২ জন ডেপুটি রেজিস্ট্রার, ২০ জন সহকারী রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন কোর্ট ও শাখায় মোট ২৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারি সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত রয়েছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত