ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বন্ধ হচ্ছে বিমানবন্দর এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার

বন্ধ হচ্ছে বিমানবন্দর এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার

দেশে পরিবেশ দূষণের যাবতীয় উপাদান আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছেছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। সরকার এই সার্বিক দূষণ রোধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে আগামী ১ অক্টোবর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং তার আশপাশের এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বেবিচক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশনায় বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, বিআরটিএ, ঢাকা ট্রাফিক, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে, পরিবেশ অধিদপ্তর, এপিবিএন, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, শিক্ষক, ছাত্র প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে এই সমন্বিত উদ্যেগ গ্রহণ করেছে বেবিচক।

সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার জন্য গৃহীত বিভিন্ন প্রদক্ষেপসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য— প্লাস্টিকের বোতলের পরিবর্তে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে পানির জন্য ফিল্টার, কাচের জগ/গ্লাস বা স্টেইনলেস স্টিলের গ্লাস ব্যবহার, প্লাস্টিক ফোল্ডারের পরিবর্তে পুনঃব্যবহারযোগ্য কাগজ বা উপকরণের ব্যবহার, কাঠ বা বাঁশ দিয়ে তৈরি পরিবেশবান্ধব উপকরণের ব্যবস্থা করে খাবার পরিবেশন, পাটের ব্যাগ ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ, প্লাস্টিকের ডাস্টবিন ও পলিথিনের পরিবর্তে স্টিলের বিন ও বায়োডিগ্রেডেবল বা পুনঃব্যবহারযোগ্য উপকরণের ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ ইত্যাদি।

জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় প্রয়োজনীয় সাইনেজ এবং ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হবে বলেও জানিয়েছে বেবিচক। এগুলোর মাধ্যমে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানানো হবে। এ ছাড়া আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে, যা নিয়মিতভাবে কার্যকর থাকবে। এ পদক্ষেপসমূহ মানুষকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে অবগত করবে এবং তা ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করবে বলে আশা করছে বেবিচক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত