২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন, পরদিন ২৯ ডিসেম্বর থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত হয় বহুল প্রতীক্ষিত গণপরিবহন মেট্রোরেলের দরজা। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় মেট্রোরেল চলাচলের সময় বেড়েছে। তবে ছুটির দিন গতকাল শুক্রবার চলতো না ট্রেন। গতকাল থেকে শুক্রবারও মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলো। একই সঙ্গে কোটা আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া কাজীপাড়া স্টেশন প্রাথমিক মেরামতের পর আজ থেকে চালু হলো।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিন কাজীপাড়া স্টেশনে দেখা যায়, বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয় টিকিট কাউন্টার। এ সময় টিকিট কেটে নিজেদের গন্তব্যে রওনা হন যাত্রীরা। শুরুর দিকে এই স্টেশনে যাত্রীদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যাত্রীর চাপ। কাজীপাড়া স্টেশনে পরিবার নিয়ে টিকিট কাটতে আসেন আফসার হোসেন। তিনি যাবেন নিউ মার্কেট। এই যাত্রী বলেন, বন্ধের দিনে মেট্রোরেল চলাচলটা জরুরি ছিল। বন্ধের দিন সবাই একটু ঘুরতে বের হয়, শপিংয়ে বের হয়। ছুটির দিনে মেট্রো চালু হয়ে খুব ভালো হলো। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকিট কেটেছি। ওখান থেকেই নিউ মার্কেট যাবো। ওয়ালিউল ইসলাম রিপন বলেন, শুক্রবারেও অনেকের কাজে যেতে হয়, যেমন আমার আছে। আমি যাবো মতিঝিল। মেট্রো থাকায় আমি এটার সুবিধা এখন আমি পাবো। সিনথিয়া রহমান বলেন, শুক্রবারে মেট্রোরেল চলবে, এর জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম। সেটা শুরু হয়েছে। শুক্রবার বন্ধের দিন হলেও রাস্তায় অনেক জ্যাম কিন্তু থাকে। এখন আমাদের জ্যামে বসে থাকতে হবে না। এ সময় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশনে আসেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ। তিনি বন্ধের দিনে মেট্রোরেল চলাচল বিষয়ে বলেন, আমরা আজ শুরু করলাম। একটু ডাটা কালেকশন করি শুক্রবার কেমন ইম্প্যাক্ট পড়ছে। যাত্রীরা কেমন যাতায়াত করছে। আমাদের টার্গেট আছে সাড়ে তিন মিনিট পর পর মেট্রোরেল চালানো। আমরা সে লক্ষ্যেই এগোচ্ছি, মেট্রোরেলকে কমার্শিয়ালি এগোনোর জন্য। উল্লেখ্য, শুক্রবার মেট্রোরেল চলাচলের সময়সূচি হলো- উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল রুটে দুপুর ৩টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং মতিঝিল থেকে উত্তরা উত্তর রুটে দুপুর ৩টা ৫০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। দুই ট্রেনের মধ্যবর্তী সময়ের বিরতি ১০ মিনিট, ৮ মিনিট ও ১২ মিনিট থাকবে বলে গত বৃহস্পতিবার জানান ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।