আগামীর কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে সংবিধান সংপ্ত শাধন, পুনর্লিখন কিংবা সংস্কার জরুরি বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা। তারা বলেন, এ যাবত বাংলাদেশে ১২টি সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি নির্বাচনই হয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে। সংবিধান সংশোধন না হওয়ার কারণে দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়। যা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তা ছাড়া সংবিধান সংশোধন না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহারের সুযোগ পায়। গতকাল শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে লইয়ার্স ইউনিয়ন বাংলাদেশ আয়োজিত আগামির কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে সংবিধান সংশোধন/পুনর্লিখনের উদ্দেশ্যে সংবিধান ও জনমত শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে তারা বলেন, গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠন হবে। তখন সংবিধান বাতিল হয়ে নতুন সংবিধান করা হবে। ৭২ সালে রচিত সংবিধানের কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ৫৩ বছর মানুষের চাহিদা আকাংক্ষার পরিবর্তন হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও সংবিধান সংস্কার প্রয়োজন। তবে এমনভাবে সংশোধন প্রয়োজন, যাতে করে আইনগত কাঠামোর পরিবর্তন না হয়। ইসলামের প্রতি যেন বৈষম্য না হয়- এমন সংবিধান তৈরি বা সংশোধনের অনুরোধ জানান বঙ্গরা। তারা বলেন, এই সংবিধান মূলত ভারতের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হয়েছে। তাই দ্রুত সংশোধন জয়ারি। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক মো. ইকতেদার আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি ড. মো. আবু তারিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান। এড. মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল সুমনের সঞ্চলনায় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ঢাবির ইরেজি বিভাগের অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয় তারিকুল ইসলাম, সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র মাসুদ রানা জুয়েল, ব্যারিস্টার নেওয়াজ মোর্শেদ, পুরান ঢাকা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জাফরুল আলম, একই সংগঠনের সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন, এড. জালাল প্রমুখ।