ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বছরে আপ্যায়ন ব্যয় সাড়ে ৬ লাখ টাকা

অনিয়ম ও দুর্নীতির বরপুত্র বেরোবির সাবেক উপাচার্য

অনিয়ম ও দুর্নীতির বরপুত্র বেরোবির সাবেক উপাচার্য

দায়িত্বের শেষ অর্থবছরে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদের আপ্যায়ন ব্যয় বাবদ খরচ করেছেন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা। অনিয়ম ও দুর্নীতির বরপুত্র বেরোবির এই সাবেক উপাচার্যের আমলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আপ্যায়ন ব্যয় বাবদ ৬ লাখ ২৮ হাজার ৬২৫ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল থেকে উত্তোলন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন হতে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপাচার্যের দপ্তরের ছয় কর্মকর্তা ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের মোট ১৬৫ কর্মদিবসে উল্লেখ্য অর্থ উত্তোলন করেন। দৈনিক হিসাবে গড়ে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮১০ টাকায়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রমতে, উপাচার্য থাকাকালীন অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ বেলা ১২টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত দপ্তরে উপস্থিত থাকতেন। তিনি দপ্তরের বাইরে বাসভবন কিংবা গেস্ট হাউজে দাপ্তরিক কোনো মিটিং করতেন না বলেও জানা যায়। পাশাপাশি সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভাগুলোর আপ্যায়ন ব্যয় পৃথকভাবে উত্তোলন করা হয়েছিল। এরপরও উপাচার্য কীভাবে এত বিপুল অঙ্কের অর্থ আপ্যায়ন ব্যয় বাবদ খরচ করেছেন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠেছে প্রশ্ন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সাবেক ডিন মতিউর রহমান বলেন, ‘আপ্যায়ন খরচ হিসেবে আমার মনে হয় সাড়ে ছয় লাখ টাকা অনেক বেশি। একজন ভাইস চ্যান্সেলরের আপ্যায়ন ব্যয় এত বেশি হতে পারে না।’ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক বলেন, ‘আপ্যায়ন ব্যয়ের এই দুর্নীতি সামনে আসার মাধ্যমে ওনার অপকর্মের একটা দিক কেবল সামনে এসেছে। এ রকম আরও ডকুমেন্ট ধীরে ধীরে আমরা পাব।’ এ বিষয়ে কথা বলতে মুঠোফোনে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে ইউজিসির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেট পরীক্ষক দল এক পরিপত্রে হাসিবুর রশীদ প্রশাসনের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১৩টি আর্থিক অনিয়মের কথা উল্লেখ করে ছয়টি খাতে সংস্থাটির ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানায়। এ ছাড়া, বিধিবহির্ভূতভাবে তিনি তার মেয়াদে একাধিকবার তার কাছের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়ারও চেষ্টা করেন ইউজিসির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত