ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঢাবির সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট

মতবিনিময় সভায় যৌন নিপীড়ক শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

মতবিনিময় সভায় যৌন নিপীড়ক শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তারই এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।

কিন্তু সিন্ডিকেটের এমন সিদ্ধান্তের পরও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হতে দেখা যায় অধ্যাপক নুরুল ইসলামকে। তার দাবি, হাইকোর্ট থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এরকম একটি রায় নিয়ে এসেছেন। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলা এই মতবিনিময় সভায় ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক গোলাম আজমসহ সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্যও দিতে দেখা যায় অধ্যাপক নুরুলকে। অধ্যাপক নুরুলের দাবির প্রসঙ্গে জানতে আলোকিত বাংলাদেশের সাথে কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সদস্যদের। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যখন যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আসে তখন সেটার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে তিনটি ধাপ পেড়োতে হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে অভিযোগের সত্যতা জানতে গঠিত হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টের পরে সেটা হাইকোর্ট নির্দেশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলে পাঠানো হয়। সেখান থেকে একটা রিপোর্ট আসার পর সেই রিপোর্ট সিন্ডিকেটে আসে। এরপর সিন্ডিকেট যদি মনে করে তাকে শাস্তি দিতে হবে তাহলে তখন সেটা ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। কিন্তু অধ্যাপক নুরুলের বিরুদ্ধে গেল বছরের ৩০ নভেম্বর যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠিত হয়, সেখানে তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর করা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি। পরবর্তীতে সেই রিপোর্ট পাঠানো হয় যৌন নিপীড়ন সেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যৌন নিপীড়ন সেলে অধ্যাপক নুরুলের বিরুদ্ধে তদন্ত এখনো চলমান। তার বিষয়ে সিন্ডিকেটে এখনো কোন তদন্ত রিপোর্ট আসেনি। আর হাইকোর্ট থেকে আসা রায়ও এখনো সিন্ডিকেটে পৌঁছায়নি। এছাড়া, নতুন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান দায়িত্ব পাওয়ার পর সিন্ডিকেট সভা হয়েছে দুইটি যেগুলো ছিল জরুরি সভা। এসব সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস কার্যক্রম চালু করা ও ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতির বিষয়ে আলোচনা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যেখানে অধ্যাপক নুরুলের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত