তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে তরুণ কণ্ঠস্বরকে জোরালো করতে হবে

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী প্রজন্মকে তামাকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে এবং তরুণদের মাঝে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে একটি স্বাস্থ্যকর ও তামাকমুক্ত জাতি গঠনের লক্ষে তরুণদের কণ্ঠস্বরকে জোরালো করার দাবি জানিয়েছে ঢাকা আহছানিয়া মিশন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ঢাকা আহছানিয়া মিশনের কার্যালয়ে আয়োজিত ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে তরুণ ক্যাম্পেইনারদের দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক কর্মশালায় এমন দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।

তরুণ নেতৃত্বদের তামাক নিয়ন্ত্রণের কৌশল, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নেতৃত্ব গঠন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষে কর্মশালার আয়োজন করা হয়, যাতে তারা দেশব্যাপী কঠোর তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহবুব কায়সার এবং বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার। এই ধরনের কর্মশালা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তরুণ সমাজ যথাযথ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহবুব কায়সার বলেন তামাকের কারণে দেশে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষের প্রাণ ঝরছে। মৃত্যুর এই মিছিল ঠেকাতে তরুণদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবিতে তাদের কণ্ঠস্বরকে জোরালো করতে হবে।

দেশে প্রচলিত তামাকপণ্যের পাশাপাশি ই-সিগারেট ব্যবহারের ক্ষতি থেকে তরুণদের রক্ষা করতে তাদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা জরুরি বলে মনে করেন বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার। স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা আহছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, তরুণরাই একটি দেশের মূল চালিকাশক্তি। তাই তরুণদের সঠিক জ্ঞান ও সরঞ্জাম দিয়ে প্রশিক্ষিত করার মাধ্যমে তরুণদের মাঝে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে একটি স্বাস্থ্যকর ও তামাকমুক্ত জাতি গঠন করা সম্ভব। কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তরুণদের ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিক ও তামাক নিয়ন্ত্রণের কৌশল, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নেতৃত্ব গঠন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম ও শারমিন রহমান এবং প্রোগ্রাম অফিসার খাদিজাতুল কুবরা।