ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিএনজি অটোরিকশা মেট্রো এলাকায় চালাতে চান চালকরা

সিএনজি অটোরিকশা মেট্রো এলাকায় চালাতে চান চালকরা

ঢাকা জেলা থেকে রেজিস্ট্রেশন পাওয়া সিএনজি অটোরিকশাগুলো (ঢাকা-থ) ঢাকা মেট্রো এলাকায় চালানোসহ ৩ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক/শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটি। গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মালিক শ্রমিক সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। সোসাইটির দাবিগুলো হচ্ছে মহানগরীর চালকরা যেন বৈষম্যমুক্তভাবে বিনা বাধায় ঢাকা মেট্রো-থ গাড়ির মতো ঢাকা-থ গাড়ি মহানগরের রাস্তা ব্যবহার করতে পারেন। মহানগরীতে চলাচলের আবেদনটি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীতে চলাচল করা ঢাকা-থ গাড়িগুলো ট্রাফিক সার্জেন্টকে রেকারিং, ডাম্পিং, রোড পারমিটের মামলা না করার জন্য নির্দেশ দেয়া।

এ ছাড়া ঢাকা জেলার ওপর দিয়ে যেসব হাইওয়ে রাস্তা আছে, সেসব রাস্তায় অথবা হাইওয়ের পাশ দিয়ে বাই লেন তৈরি করে সিএনজি অটোরিকশাসহ ধীরগতির বাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা। সমাবেশে সোসাইটির সভাপতি মো. জুয়েল মালতীয়া বলেন, ২০০২ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার ঢাকা মহানগর থেকে বায়ু দূষণ দূর করতে ৩৬ হাজার বেবিট্যাক্সি উচ্ছেদ করে মাত্র সাড়ে ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশা (ঢাকা মেট্রো-থ) প্রদান করায় এই সেক্টরে অনেক চালক বেকার হয়ে পড়ে। পরে আরো গাড়ি দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। সরকার নির্ধারিত জমার চেয়ে মালিকদের জমা বেশি দিতে হয় এবং প্রতিনিয়ত নানা নির্যাতন সইতে হয়। গত ২৫ বছরে উল্লেখযোগ্য নতুন গাড়ি অনুমোদন না দেয়ায় ‘ঢাকা মেট্রো-থ’ গাড়ির মালিকরা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে এই সেক্টরকে বিশৃঙ্খল করেছে। তিনি বলেন, বর্তমান মহানগরীতে প্রায় ২ কোটি লোকের বসবাস। লোকের তুলনায় ১৫ হাজার গাড়ি নিতান্তই কম। ফলে গাড়ির স্বল্পতায় বেকার এবং নানা নির্যাতিত চালকদের মধ্যে একাংশ ঢাকা জেলায় চলাচলের অনুমোদন প্রাপ্ত (ঢাকা-থ) গাড়ি ধার/দেনা অতি সুদে লোন, সোনা-গয়না বিক্রি করে ক্রয় করে নিজের গাড়ি নিজে চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কিন্তু ‘ঢাকা-থ’ সিএনজি অটোরিকশাগুলো জেলার মধ্যে নানা কারণে চলাচল করতে অনেক সমস্যায় পড়ছে। ঢাকা জেলার মধ্যে মহানগরটি অবস্থান করায় জেলাটি কয়েকটিভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। জেলার এক স্থান হতে অন্যস্থানে যেতে হলে মহানগরের সড়ক ব্যবহার করতে হয় বলে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। জেলার উপর দিয়ে বুড়িগঙ্গা, বংশী, তুরাগ, ধলেশ্বরী, বালু নদী ও হাওর বিলের কারণে জেলা বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত