ঢাকা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘ঢাকার অভিভাবকহীন কুকুরের দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের নেয়া উচিত’

‘ঢাকার অভিভাবকহীন কুকুরের দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের নেয়া উচিত’

ঢাকা শহরের অভিভাবকহীন কুকুরের দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের নেয়া উচিত। এমন মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মানুষ বুদ্ধিমান প্রাণী-ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও সভ্যতা নির্মাণকারী হলেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিনাশ মানুষের বেঁচে থাকার পরিবেশকেই ধ্বংস করে দিচ্ছে। মানবিক ও প্রাণবিক বিষয়গুলো আমরা এক করে ফেলছি। প্রাণী রক্ষায় আমাদের আরো মানবিক হতে হবে, এক্ষেত্রে মানুষ আর প্রাণীর বিভাজন নয়। আসুন না, একটু মানবিক হই। বিভিন্ন সেক্টরের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ থেকে ওয়ান লাইফ অ্যাপ্রোচণ্ডএ পরিবর্তন করতে চাই। যেখানে মানবিক উন্নয়ন ও সুস্থতা, প্রাণী-জীবনের সংরক্ষণ, পরিবেশের ভারসাম্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামগ্রিক জীবনধারা ও দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে। এক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তিনি বলেন, জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন দেয়ার ফলে জলাতঙ্কের হার আগের তুলনায় কমলেও অসচেতনতা, ভৌগোলিক অবস্থান, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য দেশে জলাতঙ্কের ঝুঁকি এখনো বিদ্যমান। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি, কুসংস্কার দূর করা ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ খুবই জরুরি। একই সঙ্গে পোষা ও বেওয়ারিশ কুকুর-বিড়ালকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রয়াস জলাতঙ্ক নির্মূলে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত