বিএসএমএমইউসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব রেটিনা দিবস পালিত

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

‘আপনার রেটিনাকে ভালবাসুন, আপনার চোখ সুরক্ষিত রাখুন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বিএসএমএমইউ) জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাস্পাতাল, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল, ইসস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ও অন্যান্য চক্ষু হাসপাতালে গতকাল রোববার র‌্যালিসহ নানা আয়োজনে একযোগে রেটিনা দিবস পালিত হয়েছে। প্রতি বছর রেটিনার রোগ সচেতনতায় সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বিশ্ব রেটিনা দিবস পালিত হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেটিনা র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন ও বক্তব্য রাখেন চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ, কমিউনিটি চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শওকত কবির, বাংলাদেশ ভিট্রিও রেটিনা সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. তারিক রেজা আলী, বাংলাদেশ ভিট্রিও রেটিনা সোসাইটির মহাসচিব ডা. শাহনুর হাসান, বাংলাদেশ ভিট্রিও রেটিনা সোসাইটির পাবলিকেশন সেক্রেটারি ডা. মোহাম্মদ আফজাল মাহফুজউল্লাহসহ অনেকে। বক্তব্যে রেটিনা বিষয়ে রোগ নির্ণয়ে রেটিনোপ্যাথি স্ক্রিনিংয়ের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সেই সাথে সাধারণ জনগোষ্ঠী ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে রেটিনা চিকিৎসার প্রসারের উপর জোর প্রদান করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপট এ রেটিনায় রক্তক্ষরণ ও রেটিনাল ডিট্যাচমেন্ট নিয়ে অনেক রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। আঘাতজনিত রেটিনাল ডিটাচমেন্ট এর বেশির ভাগ রেটিনা গুলির আঘাতপ্রাপ্ত। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিবেচ্য বিষয় হলো কতদিন আগে চোখ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, চোখের কোন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, কত দূরত্বে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, ঐ মুহূর্তে চোখে চশমা বা সানগ্লাস পরিহিত ছিল কি না, বর্তমান অক্ষি কোটরের কাঠামো স্বাভাবিক আছে কি না, চোখের বর্তমান দৃষ্টিশক্তি কি অবস্থায় আছে, চোখের ইন্ট্রা অকুলার প্রেশার স্বাভাবিকের চেয়ে কম বা বেশি আছে কি না, কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা (যেমন: বি-স্ক্যান আল্ট্রামনোগ্রাম) চোখের অভ্যন্তরে কোনো গুলি আছে কী না, এ ছাড়া এক্সরে এবং সিটি স্ক্যানের মাধ্যমেও গুলির উপস্থিতি ও অবস্থান নির্ণয় করা যায়।