জাতীয় মানবাধিকারে কমিশন

ওষুধের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধি ও জনগণ ভোগান্তি নিরসনে পদক্ষেপ

প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ওষুধ একটি নিত্য প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। দেশে কয়েক মাস পরপরই ওষুধের দাম বৃদ্ধি যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এবং বিশেষত্ব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দেশীয় কোম্পানিগুলো ওষুধের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিতে উদ্বেগ ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় নজরদারিসহ রাষ্ট্রকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে মর্মে কমিশন মনে করে। এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উপরে স্বঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে। প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনাপূর্বক সুয়োমটোতে উল্লেখ রয়েছে, গত কয়েকদিনে অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক ট্যাবলেট, ভিটামিন, গ্যাস্ট্রিক ও ডায়াবেটিকসের ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশনের দাম বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো। অন্যদিকে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভোক্তা অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের অভিযানে ভাটা পড়েছে। এই সুযোগে ওষুধের দাম বেড়েছে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। রাজধানীর গোপীবাগ, শাহবাগ, মিটফোর্ড ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার কয়েকটি ফার্মেসিতে ক্রেতাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ওষুধের দাম বাড়ার বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা। জানা যায়, দেশে উৎপাদিত মোট ওষুধের মাত্র ৩ শতাংশের দাম নির্ধারণ করতে পারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বাকি ৯৭ ভাগের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইচ্ছে মতো ওষুধ কোম্পানিগুলো মুনাফা করছে। এক্ষেত্রে বরাবরই বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ওষুধের কাঁচামাল, মার্কেটিং খরচ ও ডলারের দাম বাড়ার বিষয়টি সামনে আনা হয়। ওষুধের দাম বৃদ্ধি রোধে গত ২৯ এপ্রিল উচ্চণ্ডআদালত থেকে নির্দেশনা দেয়া হয় কিন্তু সেটিও কার্যকর হচ্ছে না। ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।