ঢাকা ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সেন্টমার্টিনের বিষয়ে ২০ অক্টোবরের মধ্যে পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে

পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা
সেন্টমার্টিনের বিষয়ে ২০ অক্টোবরের মধ্যে পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে

আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাত্রিযাপন এবং পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করাসহ অন্যান্য বিষয়ে আমরা একটা কর্মপরিকল্পনা নিতে পারবো বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে ‘সুন্দরবন বাঘ জরিপ-২০২৪’ এর ফল ঘোষণা উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। গত ৭ অক্টোবর সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, সেখানে কী কী সুপারিশ এসেছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সেখানে যারা হোটেল ও জাহাজ চালায় তারা একমত হয়েছেন যে সেখানে একবার ব্যবহারযোগ্য কোনো প্লাস্টিক ঢুকতে দেয়াই উচিত নয়। ?কেউ কেউ এমনো বলেছেন যে, চানাচুর, চিপস, আচার- এগুলো ওখানে ঢুকতে দেয়াই উচিত না।

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আরেকটা আলোচনা হয়েছে, সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেগুলো ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে নেয়া সিদ্ধান্ত কিন্তু সেগুলো কেন বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা যদি সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই তাহলে সেখানে তাদের বক্তব্য কি? তারা আমাদেরকে বলেছেন, তাদের যে বাকি সদস্যরা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে আমাদেরকে জানাবেন। তারা বলেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে আগের সরকার এক তরফাভাবে ওই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিল।

সৈয়দা রিজওয়ান আহসান বলেন, আমরা তাদের বলেছি সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাতে থাকতে দেয়া যাবে না, সিদ্ধান্ত ছিল নির্দিষ্ট সংখ্যকের বেশি পর্যটক সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন না- এখানে তাদের বক্তব্য কি? তারা একমত হয়েছেন যে সেখানে পর্যটক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কিন্তু সংখ্যাটা কি হবে, সেটা তারা তাদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে আমাদেরকে জানাবেন।

উপদেষ্টা বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাত্রিযাপন এবং পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করার বিষয়ে তারা তাদের মতামত আমাদের ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জানাবেন। এরপর সরকারি সংস্থার সঙ্গে কথা বলে আশা করি ২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিনের ব্যাপারে আমাদের কর্মপরিকল্পনাটা আমরা নিতে পারব।

উপদেষ্টা বলেন, পর্যটন বিভাগেরও এ বিষয়ে বক্তব্য আছে। জাহাজ যারা চালায় তাদেরও একটা বক্তব্য আছে। আমরা হোটেল মালিক ও সেখানকার জাহাজ মালিকদের মতামত আমরা পাব।

সেন্টমার্টিনে প্রচুর কুকুর আছে জানিয়ে তিনি বলেন, কুকুর নিয়ে যে বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলো কাজ করে তারা যদি ওখানে গিয়ে কুকুর বন্ধ্যাকরণের কাজ শুরু করলে তারা (হোটেল মালিকরা) সহযোগিতা করবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত