ঢাকা ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘ঢাবির আগ্রাসন মানি না, মানবো না’

‘ঢাবির আগ্রাসন মানি না, মানবো না’

‘ঢাবির আগ্রাসন মানি না, মানবো না’ স্লোগানসহ আরো নানা স্লোগানে মুখরিত করে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে ‘তিতুমীর ঐক্যে’ ব্যানারে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও র‌্যালি করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে শহীদ মামুন চত্বরে এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনের আগে শিক্ষার্থীরা একটি র‌্যালি নিয়ে কলেজের প্রধান ফটক হতে মহাখালীর আমতলী ও বক্ষব্যাধী হাসপাতাল মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কলেজের সামনে এসে সমবেত হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘অধ্যক্ষ না ভিসি, ভিসি ভিসি’, ‘ঢাবির আগ্রাসন মানি না, মানবো না’, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য চলবে না, চলবে না’, ‘অধিভুক্তি না মুক্তি, মুক্তি মুক্তি’, ‘ঢাকা উত্তর কী চায়, বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়’, ‘মহাখালী কী চায়, বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়’, ‘গুলশান কী চায়, বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়’ স্লোগান দেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- ১) দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিশন গঠন ও আইন পাশ করে সরকারি তিতুমীর কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় (তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়) হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। ২) তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পরবর্তী সময়ে অতিদ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব কার্যক্রম (একাডেমিক ও প্রশাসনিক) তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তান্তর করতে হবে। ৩) দ্রুত সময়ের মধ্যে অর্থায়ন প্রদান অর্থাৎ একটি সম্পূরক বাজেট বরাদ্দের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে। ৪) যোগ্যতা সম্পন্ন ভিসি, অধ্যাপক ও প্রভাষক নিয়োগের মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৭ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজসহ রাজধানীর সাতটি কলেজকে ঢাবি অধিভুক্ত কলেজে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা করা হয়। অধিভুক্ত করার পরবর্তী সময়েও কলেজটি নানা সমস্যা জর্জরিত। তাই সরকারি তিতুমীর কলেজকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি পালিত হবে। উল্লেখ্য, এর আগে শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। স্মারকলিপিতে তারা সরকারি তিতুমীর কলেজের বর্তমান অবস্থা, এর সামর্থ্য ও মানোন্নয়নের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে তারা মনে করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত