নারায়ণগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীতে শহরের চাষারা রামকৃষ্ণ মিশনে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টায় শহরের চাষাড়া রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী দেবীকে অঞ্জলি দেয়ার মধ্য দিয়ে পূজা অর্চনা শুরু হয়। এবারের কুমারী পূজায় দেবীর আসনে বসিয়ে পূজা দেয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুলের শিশু শ্রেণির ছাত্রী ৭ বছরের কন্যা সুনন্দা চক্রবর্তীকে। সুনন্দা চক্রবর্ত্তী শহরের বংশাল রোড়ের সঞ্জয় চক্রবর্তী ও দিপাণি¦তা চক্রবর্তীর মেয়ে। ঢাকঢোল ও শঙ্খ বাজিয়ে অঞ্জলি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কুমারী দেবীকে বরণ করেন ভক্তরা। এরপর দেবীর কাছে সবাই প্রার্থনা করেন। কুমারী পূজা পরিচালনা করেন নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ মহারাজ।
শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমীতে দেবী বন্দনার পাশাপাশি বিপুল আড়ম্বরে কুমারী পূজা উপলক্ষে চাষারা রামকৃষ্ণ মিশনে ভক্ত, পূজারি ও দর্শণার্থীদের ঢল নামে। সনাতন ধর্ম মতে, মা ই মহাশক্তির আধার। আর পৃথিবীর সবকিছুই মায়ের হাতে। তাই অষ্টমী তিথিতে কুমারী বালিকাকে পবিত্র মেনে দেবীর আসনে বসিয়ে তাকে মাতৃরূপে পূজা করা হয়। হিন্দুপুরাণ অনুযায়ী মাতৃজ্ঞানে কুমারী দেবীকে ষোলটি নামে ডাকা হয়ে থাকে। কুমারী পূজা সম্পর্কে স্বামী একনাথানন্দ মহারাজ বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ শারদীয় দুর্গোৎসবে এ কুমারী পূজার প্রচলন শুরু করেন। দেবীকে জাগতিকভাবে পূজা করতে শত বছর ধরে এ কুমারী পূজা পালন করা হচ্ছে। সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুসারে দেবীকে শিশুরূপে মায়ের আসনে পূজা করা হয়।