র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, একটি কুচক্রী মহল সামান্য একটি ঘটনাকে পুঁজি করে গুজব ছড়িয়ে এর আগেও তারা নাশকতা করেছে। এবার যাতে করে যেনো কেউ কোনভাবেই যাতে নাশকতা করতে না পারে এ জন্য আমরা প্রথম থেকে প্রস্তুত আছি। আমাদের সাইবার টিম ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ গোয়েন্দাদের সাইবার টিম কাজ করছে।
যাতে করে তারা সাইবার ওয়ার্ল্ডকে ব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে কোনো প্রকার নাশকতা করতে না পারে। ?যারা কুচক্রী মহল আছে তারা কোনোভাবেই আমাদের সাথে পারবে না। তাদের যে ঘৃণঅপচেষ্টা আমরা তা ব্যক্ত করে দিয়েছি। আমরা যারা শুভবুদ্ধির মানুষ সমাজের ভালো চাই আমাদের বিজয় হবে। গতকাল শুক্রবার বিকাল পাঁচটার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়াস্থ রামকৃষ্ণ মিশন পূজা মণ্ডপ ও আমলাপাড়া সার্বজনীন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। এ সময় র্যাব ডিজি একেএম শহিদুর রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশে আমরা সব সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের যাবতীয় সামাজিক ও ধর্মীয় এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলো একসাথে মিলেমিশে পালন করে আসছি। আমাদের একটি অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য আছে। ঐতিহ্য যেন আমাদের সবসময় ঠিক থাকে। ঠিক একইভাবে অনাগত দিনগুলোতেও আমরা সব সম্প্রদায়ের মানুষ সামাজিক, ধর্মীয় মূলনীতি অনুষ্ঠানগুলো সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারি। এবারের পূজোতে কিন্তু আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। র্যাবের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীও এবার মাঠে আছে। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবারের শারদীয় দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানটি আরো উৎসমুখর ও সুন্দর হবে। এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, পূজার মহালয় থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত দুই একটা বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া তেমন বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। আশা করতে পারি শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পূর্ণ হবে। আমরা আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত মাঠে আছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই সময়টা সুন্দরভাবে পালন করতে পারবো।
এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, র্যাব-১১ এর সিইও তানভীর মাহমুদ পাশা, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. তরিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি সভাপতি প্রবীর সাহা, চাষাঢ়া রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন, দেওভোগ নাগমহাশয় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আচার্য্য, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাসসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পূজা উদযাপন পরিষদেও নেতারা।