বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, একটি রাজনৈতিক দল চারটি কারণে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। গুন্ডামি এবং মাস্তানির মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা হয় না। আওয়ামী লীগ এই চরিত্রের কারণে জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। আর গোটা দেশের জনগণ তাদের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু জামায়াত বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়েছে। আগামী দিনে সরকারে যাওয়ার মতো আসন লাভ করবে ইনশাআল্লাহ। সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। জামায়াতে ইসলামী এখন সব দলের চেয়ে জনিপ্রয়। গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ময়মনসিংহ মহানগরীর রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা কামরুল আহসান এমরুলের সভাপতিত্বে মহানগর সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় এ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মতিউর রহমান আকন্দ আরো বলেন, দল হিসেবে তিনটি ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর অবদান অনেক বেশি। নির্বাচন পদ্ধতিটা কি হবে কোনো রাজনৈতিক দল এ নিয়ে কোনো থিউরি দিতে পারে। দিয়েছিল একমাত্র জামায়াতে ইসলামী। কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি আমাদের দেয়া থিউরি। এখন সব রাজনৈতিক দল এটার দিকে ফিরে আসছে। জাতীয় অবদানের ভিত্তিতে বাংলাদেশে জামায়াত এক নাম্বারে আছে। ব্যাংক, হাসপাতালসহ সব ক্ষেত্রে সমাজে জামায়াতের ব্যাপক অবদান রয়েছে। তাছাড়া অন্যায়, জুলুম, নির্যাতন বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় যে দল বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে জামায়াতকে বাংলাদেশের মানুষ সেই জায়গায় রেখেছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক ড. সামীউল হক ফারুকী বলেন, এক প্রকৃত মুসলিম হতে হলে নিজের জানমাল আল্লাহর পথে উৎসর্গ করতে হবে। জনগণকে সংগঠিত করে দ্বীন কাজকে চালিয়ে যেতে হবে। এ জন্য আমাদের কর্মী রুকন বৃদ্ধি করতে হবে। প্রতিটি মহল্লায় আমাদের ইউনিট গঠন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী একটি নৈতিক আন্দোলন। আল্লাহর সাহায্যের উপর আমাদের নির্ভশীল হতে হবে। একদল দক্ষ যোগ্য সৈনিক তৈরি করতে হবে। ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের আমীর আবদুল করিম বলেন, আমরা আল্লাহ দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য শপথ নিয়েছি। দ্বীন বিজয়ী করার চিন্তা মাথায় নিয়ে কাজ করতে হবে। মহানগর নায়েবে আমীর আসাদুজ্জামান সোহেল বলেন, সর্বদা সাংগঠনিক শৃংখলা মেনে চলতে হবে। কোনো রুকন সাংগঠনিক এরিয়ার বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে আমীর, সেক্রেটারি বা দায়িত্বশীলকে অবগত করে যেতে হবে। সংগঠনের নিয়ম পরিপন্থি কোনো কাজ করা যাবে না। রুকন সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সেক্রেটারি মাহবুবুল হাসান শামীম, আনোয়ার হাসান সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক আল হেলাল তালুকদারসহ অন্যান্য নেতারা।