ঢাকা ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাজধানীর আশপাশে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ১০ সরকারি হাইস্কুল ও কলেজ

রাজধানীর আশপাশে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ১০ সরকারি হাইস্কুল ও কলেজ

ঢাকার ঠিক আশপাশেই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ১০টি সরকারি হাইস্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। যেসব এলাকায় সরকারি স্কুল-কলেজ নেই এমন এলাকাকেই অগ্রাধিকার দিয়ে এরই মধ্যে স্থান নির্ধারণ ও জমি অধিগ্রহণের কাজও প্রায় শেষ হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে মূল শিক্ষা কারিকুলামের সাথে যুক্ত করা হবে কর্মমুখী একাধিক ট্রেড কোর্স। জানা গেছে, ঢাকার ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্য গুণগতমান নিশ্চিত ও শিক্ষার সম্প্রসারণ করার লক্ষ্য এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব স্কুল-কলেজে ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনার সুযোগ পাবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। শতভাগ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সংশোধিত মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কয়েক দফায় সময় বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৭ সালের ৩০ জুন। যে সব এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে- কেরানীগঞ্জের পশ্চিমদি, ধামরাইয়ের লাকুরিয়াপাড়া, আশুলিয়ার পাথালিয়ায় বাঁশবাড়ি, সাভারের হেমায়েতপুরের বিলামালিয়া, বাড্ডার সাঁতারকুল, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডে জালকুড়ি, নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোডের খোর্দ্দঘোষপাড়া, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল, আশুলিয়ার র্পূর্ব-নরসিংহপুর এবং খিলক্ষেতের জোয়ারসাহারা।

এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রায় দুই একর করে জমি অধিগ্রহণের করা হয়েছে। তবে শুধু পূর্বাচল, খিলক্ষেতের জোয়ারসাহারা এবং আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুরে জমি অধিগ্রহণের কিছু কাজ এখনো চলমান রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুবিধা থাকবে- প্রতিটি ভবন হবে ১০ তলাবিশিষ্ট হবে। প্রতিটি ভবনেই থাকবে দু’টি করে লিফট। অ্যাকাডেমিক ভবনের বাইরে থাকবে শহীদ মিনার, একটি করে জিমনেশিয়াম, গার্ডিয়ান শেড, আধুনিক আসবাবপত্র, কম্পিউটার ও কম্পিউটার-সামগ্রী (ইন্টারনেটসহ), অফিস সরঞ্জামাদি, ল্যাব, জিম ও কালচারাল ইকুপমেন্ট, খেলাধুলার সামগ্রী এবং সব ধরনের বই-পুস্তক। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর প্রথমে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন লাভ করে। এরপর একই বছরের ৬ নভেম্বর এটি পরিকল্পনা কমিশনে অনুমতি পায়। ওই মাসেই ২০ তারিখে মাউশি বিভাগ থেকে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন লাভ করে; কিন্তু পরবর্তী সময়ে ভবনের নকশাসংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতার কারণে পুরো প্রকল্প পুনরায় ২০২৩ সালে একনেক, পরিকল্পনা কমিশন এবং মাউশি থেকেও দ্বিতীয় দফায় অনুমোদন নিতে হয়েছে। যদিও প্রকল্পের মূল অনুমোদিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬৭৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। পরে বিভিন্ন জটিলতায় প্রকেল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৭৫০ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত