ঢাকা ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রমেক হাসপাতাল পরিদর্শনসহ পরিচ্ছন্নতা শুরু করেছে

জেলা প্রশাসন
রমেক হাসপাতাল পরিদর্শনসহ পরিচ্ছন্নতা শুরু করেছে

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল পরিদর্শনসহ পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের নেতৃত্বে ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মেডিকেল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। এ কার্যক্রমে ওয়ার্ডগুলো ময়লা-আবর্জনার ভাগারে পরিণত হওয়া, ব্যবহার অনুপযোগি টয়লেটসহ হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম দেখে জেলা প্রশাসক উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রংপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ৩০ কর্মচারী পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করে। হাসপাতালের চিকিৎসা বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাসপাতাল পরিদর্শন অব্যহত থাকবে বলে জানানো হয়। সম্প্রতি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারীদের সাথে চুক্তি নবায়ন না হওয়ায় হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে।

সরেজমিনে হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনে, সাইকেল গ্যারেজের বিপরীতে, পূর্ব গেটের প্রবেশ মুখসহ হাসপাতাল চত্বরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকাসহ সচেতনতার অভাবে যত্রতত্র ভাবে প্রতিনিয়ত খাবারের উচ্ছিষ্ট ফেলছেন রোগীর স্বজনরা। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও ফেলছেন মেডিকেল বর্জ্যসহ নানা আবর্জনা। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।

তারা বলছেন, দুর্গন্ধের কারণে হাসপাতাল চত্বর ও আশপাশে চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়েছে। সুস্থ হতে এসে অনেকেই হাসপাতালের বাইরের নোংরা পরিবেশে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। রমেক হাসপাতালে কথা হয় ঠাকুরগাঁও থেকে আসা এক রোগীর স্বজন আরিফ হাসান নামে এই ব্যক্তি বলেন, ভেতরের অবস্থা ভালো। মোটামুটি আগের চেয়ে গন্ধ কম। কিন্তু হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মুশকিল। চারপাশে ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে। এখান থেকে রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বিশেষ করে জানালার পাশে বেডে থাকা রোগীরা বাইরে থেকে আসা দুর্গন্ধে অস্বস্তিতে থাকেন। সবার জন্যই এই পরিবেশ ঝুঁকিপূর্ণ। রমেক কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আ. ম. আখতারুজ্জামান বলেন, চুক্তি ভিত্তিক কর্মচারীদের চুক্তি নবায়ন না হওয়ায় একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের ৬৩ জন কর্মচারী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের মাধ্যমে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হাসপাতাল রাখা সম্ভব না। এরপরেও আমরা চেষ্টা করছি। আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছি, কাজও অর্ধেক হয়ে গেছে। রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, আমি রংপুরে যোগদানের পর থেকে শুনে আসছি, রমেক হাসপাতালের নোংরা পরিবেশ। দীর্ঘদিন ধরে ঠিকমত ময়লা অপসারণ করা হয় না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত