ঢাকা ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন নগরবাসী

চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন নগরবাসী

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় উদ্বিগ্ন নগরবাসী। প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যর দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় অনেকে এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন। নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট ও রিয়াজউদ্দীন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচাবাজারগুলোতে দামের উত্তাপ গত সপ্তাহের মতোই বহাল আছে। শাকসবজি, ডিম, মাছ, মাংস— কয়েকটি ছাড়া প্রায় সবকিছুর দাম আগের সপ্তাহের মতোই আছে। কোন কিছুর দাম লক্ষ্যণীয়ভাবে কমতে দেখা যায় নি। বিক্রেতারা বলছেন, দফায় দফায় বন্যা ও বৃষ্টিপাতের কারণে নিত্যপণ্য, বিশেষ করে শাকসবজির সরবরাহ কমে গেছে। যার প্রভাব স্থানীয় বাজার পর্যায়ে পড়েছে। এতে ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থির হয়ে গেছে। ক্রেতারা বলছেন, প্রশাসনিক পর্যায়ে নজরদারি বৃদ্ধি করলে দাম অনেকটা কমে যাবে। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বেগুন প্রতিকেজি মানভেদে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১০০ টাকা, দেশি গাজর ১১০ টাকা, চায়না গাজর ১৬০ টাকা, বরবটি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন সবজি ফুলকপি মানভেদে ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মূলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা ও শিম ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর টমেটোর কেজি ১৬০ থেকে ২২০ টাকা। প্রতি কেজি মূলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। এর মধ্যে শিম, টমেটো, ফুলকপির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকার মতো কমেছে। বেগুনের দাম বেড়েছে কেজিতে অন্তত ১০ টাকা। এ ছাড়া বাজারে কচুরমুখী ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, আলু মানভেদে ৪৫ থেকে ৭০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ধুন্দুল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ও ধনেপাতা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

চালের মধ্যে কাটারিভোগ আতপ ২৫ কেজির বস্তা দুই হাজার টাকা, বেতি আতপ ৩২০০ থেকে ৩২৫০ টাকা, হাফ সেদ্ধ নাজিরশাইল ২২০০ টাকা ও পাইজাম আতপ ১৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১১৫ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। শাকের মধ্যে লালশাকের আঁটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পাটশাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, পুঁইশাকের বিচি ১২০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মূলাশাক ৪০ টাকা, ডাঁটাশাক ২০ টাকা, হলুদ ফুল ৪০ টাকা, কলার মোচা প্রতি পিস ৮০ টাকা, কচুশাক ২৫ টাকা, কলমি শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা ও পালংশাক ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি কচুর লতি প্রতি আঁটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং সরু লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শাকের দাম গত সপ্তাহের মতোই দেখা গেছে। সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি না হলেও গত সপ্তাহের তুলনায় ডজনে ৫ টাকা কমেছে ডিমের দাম।

এদিকে, বাজারে রুই প্রতিকেজি ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩২০ টাকা, চিংড়ি ৯০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা, লইট্যা ১৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, চাষের শিং ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। মাছের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। রিয়াজউদ্দিন বাজারে মুরগির ডিম ডজনপ্রতি ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর খুচরা দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়।মাংসের দামও কিছুটা বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকা, সোনালী মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতিকেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৫৫০ টাকা, গরুর মাংস হাড়ছাড়া ৯৫০ টাকা এবং হাড়সহ ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ১০০০ টাকায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত