ঢাকা ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে’

‘শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে’

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেছেন, সম্প্রতি আন্দোলনসহ নানা ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থার ওপর অনেক প্রভাব ফেলেছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় শিশুদের পড়াশুনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা ট্রমায় ভুগছে।

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাউন্সিলিংয়ের জন্য সরকারকেও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, এই আন্দোলনে শিক্ষকদেরও মানসিক ট্রমা গেছে। তাদেরও কাউন্সিলিং প্রয়োজন। এছাড়া বাবা-মা শিশুদের খেলার দিকে মনোযোগ না দিয়ে তাদের কোচিংয়ে পাঠান। শিশুদের মানসিক বিকাশে খেলাধুলাও জরুরি। গতকাল রোববার গণসাক্ষরতা অভিযান ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্টের আয়োজনে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউসন বাংলাদেশে ‘প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অতিথি প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহিত কামাল, ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হসপাতালের সিনিয়র চিফ কনসালটেন্ট (সাইকিয়াট্রি এন্ড সাইকোথেপারি); প্রফেসর এম. নাজমুল হক, টিচার ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর প্রফেসর এম. নাজমুল হক প্রমুখ। সভায় আলোচনাপত্র উপস্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের কার্যক্রম ব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক তপন কুমার দাশ বলেন, ‘শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসমস্যা বা ট্রমার প্রকৃতি ও ধরন নির্ণয়; মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও নীতি প্রভাবিত করার জন্য সুপারিশ তৈরি এবং তথ্য বিস্তরনের কৌশল সম্পর্কে মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে এ মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়েছে।

অধ্যাপক ড. মোহিত কামাল বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনায় প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়েছে। স্কুলে যেতে অনীহা, মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি, বিষণ্ণতা ও হতাশায় থাকাসহ বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির সংখ্যা বাড়ছে। ঘুমের সমস্যা হওয়া, শিশু সুলভ আচরণ হারিয়ে যাওয়াসহ নানারকম সমস্যা দেখা যায়। এক্ষেত্রে অভিভাবক, পরিবার, শিক্ষকসহ সরকারকেও ভূমিকা রাখতে হবে।

সভায় শিক্ষার্থীদের এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা, শিক্ষকদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া, বিদ্যালয়ে কাউন্সিলিং সেবা চালু করা, অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা এবং তাদেরকে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করা, স্থানীয় সমাজসেবকদের সঙ্গে কাজ করে কমিউনিটির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ও বিদ্যালয়ে একটি স্বাস্থ্যকর ও সহযোগিতামূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত