বকেয়া বেতনের দাবি

আশুলিয়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি

তিন মাসের বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেনারেশন নেক্সট লিমিটেড নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীসহ শিল্প পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল ত্রিমোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা। এরআগে সকাল ৮টার দিকে আশুলিয়ার গোরাট এলাকায় কারখানার সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বাইপাইলে আসে তারা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা জানায়, গত ৩ মাস থেকে কোনো বেতন-বোনাস পায়নি তারা। বেতন না দিয়ে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে কয়েকবার মালিকপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। বার বার আশ্বাস দিলেও তারা বেতন পরিশোধ করেনি। ৩ মাস অতিবাহিত হলেও অধিকাংশ শ্রমিক বেতন বোনাস পায়নি। কারখানার স্টাফদের বেতন বকেয়া আছে চার থেকে পাঁচ মাসের। এরপর বিজিএমইএ ও শ্রম মন্ত্রণালয়ে গেলে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত কারখানা খুলে দেয়নি, বেতন ও বোনাস পরিশোধ করেনি মালিকপক্ষ।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আরো জানায়, গত তিন মাস ধরে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা। বাসা ভাড়া ও দোকান বাকী থাকায় অনেকটাই না খেয়ে দিন পার করছেন। কোথাও চাকরি নিতে পারছেন না। এক মাসের বেতন বোনাস পরিশোধ না করেই গত মাসে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। গত মাসে বিজিএমইএ ও শ্রম মন্ত্রণালয় তাদের আশ্বাস দিয়েছে বেতন বোনাস পরিশোধ এবং কারখানা খুলে দেয়া হবে। কিন্তু তিন মাসের বেতন এখনও পরিশোধ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে মহাসড়কে এসেছেন। বেতন না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলতে থাকবে বলেও জানান শ্রমিকরা।

এদিকে, বাইপাইল ত্রিমোড়ে অবরোধ করে রাখায় ঢাকামুখী ও উত্তরবঙ্গমুখী লেনে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। তবে স্থানীয় রিকশা-অটোরিকশা বাইপাইল থেকে চন্দ্রাগামী লেনে চলাচল করতে পারছে। এতে রিকশা অটোরিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে জনগণকে। এছাড়া বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কও বাইপাইলমুখী লেন বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ওই দুটি সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত যাত্রীরা।

শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, খবর পেয়ে সকালেই ঘটনাস্থলে আসেন তিনি। জেনারেশন নেক্সট লিমিটেড কারখানার শ্রমিক এরা। কেউ দুই মাস কেউ আরও বেশি মাসের বেতন পায়নি। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে তুলে দেয়ার চেষ্টা চলছে।