আইনের শাসন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম নিয়ামক

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

মৌলিক অধিকারগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সম্ভব মানবাধিকার সুরক্ষা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, নাগরিক ও মানবাধিকার সুরক্ষা ও সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে মানবাধিকার কর্মীদের কার্যাবলী ইতিবাচকভাবে দেখে এবং প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, ইউএনডিপি ও সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানবাধিকারকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। দুদিনব্যাপী এই সভায় আজ সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান উপস্থিত মানবাধিকার কর্মীদের দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারগুলোও নিশ্চিত করতে মানবাধিকার কর্মীদের কর্মপ্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে, কারণ একটি অপরটির পরিপূরক এবং কোনো একটির অবর্তমানে মানবাধিকার সংরক্ষণ সম্ভব নয়। নানা সীমাবদ্ধতা ও বাধা থাকলেও আমাদের আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হতেই হবে। দেশের একজন নাগরিক প্রকৃতপক্ষেই ক্ষমতায়িত ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন এ অধিকারগুলো নিশ্চিত হলে। আমাদের সংবিধানের ৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। মানবাধিকার কর্মীদের মিলিত প্রয়াসে জনগণকে ক্ষমতায়িত করা এবং সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে যথাযথ অবদান রাখা দায়িত্ব। আমাদের মৌলিক অধিকারগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই তা সম্ভব। আলোচনাকালে গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান বলেন, দেশের জনগণের স্বার্থে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়মিত মানবাধিকারকে উচ্চ অবস্থানে প্রকাশ করতে হয়। জনগণের মধ্যে মানবাধিকার বিষয়ক সচেতনতা তৈরি ও লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরা এবং দেশে মানবাধিকার সংস্কৃতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতাপূর্ণ কাজ সকলের কাম্য। গণমাধ্যমকে শক্তিশালী ও স্বাধীন করতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো দূর করতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মানবাধিকার কর্মীরা। আরো উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক এবং কমিশনের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক।